১১টি কমিশনের নামে আওয়ামী লীগবিরোধী অপারেশন শুরু—অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ষড়যন্ত্রের অধ্যায়

আজ ২৩ আগস্ট, দেশের মানুষ যখন সহিংসতা, নিপীড়ন ও আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে, তখন তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা দিল—তারা ১১টি “সংস্কার কমিশন” গঠন করছে। প্রশাসন, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ, পুলিশ, নির্বাচন, সংবিধান, শ্রম, নারী, স্থানীয় সরকার, গণমাধ্যম ও স্বাস্থ্য খাত—প্রায় সবকিছুর ওপরই আলাদা কমিশন গঠিত হবে। শুনতে ভালো লাগলেও, এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: আওয়ামী লীগকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার এখন এমন এক নীতিতে চলছে যেখানে যেকোনো ভালো কাজের মোড়কে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করার পরিকল্পনা চাপা পড়ে আছে। প্রশাসন, পুলিশ বা দুর্নীতি দমন কমিশন—এসবকে “সংস্কারের” নামে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার শাসনামলের সব অর্জনকে কালিমালিপ্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের “সংস্কার” মানে হলো—আগামী যেকোনো রাজনৈতিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পেছনে ঠেলে, জামাত-বিএনপির জন্য পথ পরিষ্কার করে দেওয়া।

এই কমিশনগুলোর সব সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ হবে ঠিক সেই লোকদের দ্বারা প্রভাবিত—যারা এতদিন আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিরুদ্ধে কাজ করে এসেছে। “সংবিধান সংস্কার” নামে যে কমিশন গঠন হচ্ছে, তার উদ্দেশ্য কি জাতির সামনে স্পষ্ট নয়? ১৯৭২ সালের সংবিধানের মূল চেতনাই তো ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি। এখন এই কমিশন তৈরি করে সেই সংবিধানকে নতুন করে “সংশোধন” করার নামে স্বাধীনতার মূল ভিত্তিকে পাল্টে ফেলা হবে—যেমনটা ১৯৭৭-৭৮ সালে জিয়াউর রহমান করেছিলেন।

জামাত-বিএনপি এই সরকারে সরাসরি অংশ না নিলেও, তাদের পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা প্রতিটি সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হচ্ছে। একদিকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠছে, অন্যদিকে কমিশনের মাধ্যমে সেই দলটির শিকড়ে কুঠারাঘাতের প্রস্তুতি চলছে। শ্রম কমিশনের নামে শ্রমিক রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে, কারণ আওয়ামী লীগের একটি বড় ভিত্তি শ্রমিক আন্দোলনের মধ্যেই তৈরি হয়েছে। গণমাধ্যম সংস্কারের নামে আবারও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দমননীতি চালু হবে।

সবচেয়ে ভয়ংকর ইঙ্গিত রয়েছে “নারী বিষয়ক” ও “স্থানীয় সরকার” সংস্কারে। নারী নেতৃত্বের প্রতীক শেখ হাসিনার নামে প্রতিষ্ঠিত যে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ, সেই পথকে মুছে দিয়ে নতুন করে মৌলবাদী ভাবধারায় নারী অধিকার সংজ্ঞায়িত করার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর স্থানীয় সরকার মানেই হলো আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠন—যাকে দুর্বল করে দিলে পুরো দলকেই দুর্বল করে ফেলা যাবে।

এই ১১টি কমিশন আসলে ১১টি অস্ত্র—যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে একে একে ধ্বংস করার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। দেশের মানুষকে একটি “নিরপেক্ষ সংস্কারের সরকার” নাম দিয়ে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে, অথচ বাস্তবে এটি একটি রাষ্ট্র-পরিকল্পিত বিদ্বেষ ও প্রতিশোধের কাঠামো।

ড. ইউনূস জানেন, সরাসরি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে জাতি ফুঁসে উঠবে। তাই তিনি গলা টিপে হত্যার পথ বেছে নিয়েছেন—কমিশনের নামে ধাপে ধাপে দলটিকে দুর্বল করা, কর্মীদের চাকরি হারানোর ব্যবস্থা করা, তৃণমূল নেতাদের প্রশাসনিক টার্গেট বানানো, আর সর্বোপরি এমন একটি “নতুন সংবিধান” তৈরি করা, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের নামটাই না থাকে।

এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এখনই জাতিকে সজাগ হতে হবে। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এই বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে, গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে, বিশ্বদরবারে দেশের মর্যাদা বেড়েছে। আজ যারা কমিশনের নামে এই অর্জনগুলো মুছে দিতে চায়, তারা দেশের বন্ধু হতে পারে না।

আমরা বলছি—এই সংস্কার নয়, এই চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। এই সরকার নয়, নির্বাচিত সরকার চাই। শেখ হাসিনাই আমাদের নেতা, বঙ্গবন্ধুই আমাদের পথপ্রদর্শক। কেউ তাদের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে পারবে না।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

9 thoughts on “১১টি কমিশনের নামে আওয়ামী লীগবিরোধী অপারেশন শুরু—অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ষড়যন্ত্রের অধ্যায়”

  1. সাহস থাকলে দেশে আইছ তর লিডারি বার করমু রে
    নাস্তিক 😡😡😡

  2. Tor moto rajniti onnk re tik korci tui tho picci desh taki horcot jan bacse
    Ekbar pai jan r raktam na hat paw poggu kori gas o julaiya toimu ais desh o tui kali

  3. তরে মানুষ দিয়া গনধর্ষন করাইমু ,মা*দার*চুদ দেশে আয় কিলা তরে রুন্দা দেই বুঝবে।

  4. তর বাড়িত পুলিশ জাওয়ার পরেও লেখালেখি আবো বাদ দিরে না ।তর ফিটিত মাইর টানের উবা তর জীবনে অনেক দুঃখ আছে। একবার তরে হাতে পাইলাই ,তর পৃথিবীর আলো আর দেখতে নায়।

  5. হনু বইয়া আদুম ছুদুম মাতিরায়।তুই দেশো আয়,তোরে লেমটা করিয়া মারমু।বোকাচোদা

  6. তুই লেখালেখি তো অফ কররে না বুঝবে , তর অবস্থা কিতা করি ,তরে কাছে পাই দেশে আয় একবার ,তর মারিয়া এমন অবস্থা করমু তর লাশের অবস্থা দেখে মানুষে ভয় পাবে।আর নেক্সট কারোর লগে কিছু করবেনা

  7. ক্ষমতার অপব্যবহার করছিলে আজকে ক্ষমতা কোথায় গেলো , মনে রাখবে দেশের মাটিতে তর মতন আওয়ামী পন্তী মানুষ কোনোদিন শাশান্তিতে থাকতে পারবে না। তর দেশে আশা কোনোদিন হবে না। তুই যে মাত্র দেশে আসবে তর লাশটা খোজে নেওয়ার মানুষ পাবে, ৭০ টুকরো করবো তরে ।আয় দেশে

  8. দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে তর লেখালেখি থামছেনা,মনে রাখিস তর জীবনে অনেক দুঃখ আছে ।দেশে আয় তর অবস্থা কি হয় বুঝবে।

Leave a reply to Torikul Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *