নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক — অন্তর্বর্তী সরকারের মুখোশ আজ খুলে গেল

আজকের দিনটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষদের জন্য এক চরম হতাশার দিন। আজ ১২ আগস্ট ২০২৪, যেদিন জাতি প্রত্যক্ষ করলো—কিভাবে তথাকথিত “অন্তর্বর্তী সরকার” নিজেদের গণতান্ত্রিক মুখোশ সরিয়ে ফেলে প্রকাশ্যে স্বাধীনতা-বিরোধী অপশক্তির সঙ্গে আঁতাত করলো। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে—এমন একটি দলের সঙ্গে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, যাদের নাম ’৭১-এর গণহত্যার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

ড. ইউনূস, যিনি নিজেকে নাকি “নিরপেক্ষ” আর “গণতান্ত্রিক” অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দাবি করছেন, আজ প্রকাশ্যে এমন এক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন—যাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আদালতের রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। এই দল যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, আর তাদের ছাত্রসংগঠন শিবির দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস, ছুরিকাঘাত ও খুনোখুনির ইতিহাস গড়েছে। কেবল আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে আজ ইউনূস এতটাই নিচে নেমে গেছেন যে, স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথেই তাঁর ভবিষ্যৎ গড়ার মোহ জন্মেছে।

এখানে প্রশ্ন ওঠে—একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বৈঠক কেন? এই কি সেই “নতুন প্রজাতন্ত্র” যেটার কথা কিছুদিন আগে তথাকথিত ছাত্রনেতারা বলছিলেন? সেই প্রজাতন্ত্র, যেখানে জামাত-শিবিরের জন্য আবার রাষ্ট্রক্ষমতার দরজা খুলে দেয়া হবে? ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না—এই জামাত-শিবিরই ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ কর্মীদের গুম, খুন ও ধর্ষণের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ২০১৩ সালে শাহবাগ গণআন্দোলনের বিরুদ্ধে এই গোষ্ঠীই মৌলবাদী হিংস্রতা চালিয়ে প্রগতিশীল চিন্তাবিদদের হত্যা করেছে। সেই ইতিহাস ভুলে কি আবার তাদের বৈধতা দেওয়া হবে?

অন্তর্বর্তী সরকারের এই বৈঠক প্রমাণ করে দেয়—তারা জনগণের সরকার নয়, তারা এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এই সরকার ক্ষমতায় আসার শুরু থেকেই শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে জামাত-বিএনপি চক্রের পথ পরিষ্কার করছে। একদিকে তারা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে, যাতে প্রগতিশীল চিন্তার তরুণরা কণ্ঠ তুলতে না পারে, অন্যদিকে তারা জামাত-শিবিরকে রাজনৈতিক মাঠে ফিরিয়ে আনার জন্য পথ তৈরি করছে। এর নাম যদি অন্তর্বর্তী সরকার হয়, তবে এর চেয়ে বড় আত্মঘাতী সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপ আর কিছু হতে পারে না।

জামায়াতের আমির আজ যে “রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের” আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, সেটি কোনো নতুন চেতনার ফসল নয়—বরং এটি তাদের পুরনো পরিকল্পনার অংশ, যেখানে তারা আবার দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়। তারা জানে—শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তাই তারা আশ্রয় নিয়েছে এই অস্থায়ী, অবৈধ সরকারে, যারা দেশের ম্যান্ডেটবিহীন। এই সরকারের মুখে গণতন্ত্র, আর কাজে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ—এটাই তাদের প্রকৃত পরিচয়।

বাংলাদেশের জনগণ এ ষড়যন্ত্র বুঝে গেছে। এই দেশ একাত্তরের চেতনায় গড়ে ওঠা দেশ। এখানে রাজাকারদের স্থান নেই। এই বৈঠকের মাধ্যমে ড. ইউনূস নিজেই প্রমাণ করেছেন—তিনি শুধু একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নন, বরং তিনি একজন আত্মস্বার্থপর ষড়যন্ত্রী, যিনি নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দেশের আত্মাকে বিক্রি করতে দ্বিধা করেন না।

আমরা বলছি—এই সরকার অবৈধ, এই বৈঠক জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আমরা জামায়াতের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করি, এবং এই ষড়যন্ত্রী সরকারের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য চাই। শেখ হাসিনা আমাদের নির্বাচিত নেতা। দেশ চালাবে জনগণের ভোট, কোনো ষড়যন্ত্র নয়।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

8 thoughts on “নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক — অন্তর্বর্তী সরকারের মুখোশ আজ খুলে গেল”

  1. নিজরে তো বড় মাপের মস্তান ভাবছিলে ,এখন মস্তানি গেলো কই , একবার সামনে পড় তর লাশ খোজিয়া কেউ পাবে না ।অনেক ছাতানি দিছত ।

  2. তরে মারার অপেক্ষায় আছি, যেদিন দেশে আইবে সেইদিন তর শেষ দিন হবে মনে রাখিস 😡😡

  3. তোরে কাছে পাইলে তোরে কিতা যে করমু,চিন্তা করতে পারতে নাহ।তোরে আগুন দিয়া ঝালাইয়া মারমু

  4. তোমারে আমি খালি হাতর ঘুরিত পাইলাই , তোমার শরীরে কোনো অস্থিত্ব থাকতো নায়।

  5. আমি বিশ্বাস করি একদিন আওয়ামীলীগ আবার বাংলার মাঠিতে ঘুরে দাঁড়াবে, সেদিন তোদের অধিপত্য,আর রাজাকারপন্তি মন্তব্যের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে,ইনশাআল্লাহ ✊✊
    জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু ✊✊

Leave a reply to শাহেদ Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *