নির্বাচনের দাবি জানালো জামায়াত—যারা গণতন্ত্র মানে না, তারা এখন ভোট চায়!
আজ ৯ নভেম্বর ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণিত, রক্তদাগযুক্ত, পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী মুখে মুখে “নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য” নির্বাচনের দাবি জানাল। তারা বলছে, দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য “সুষ্ঠু নির্বাচন” প্রয়োজন। কথাটা শুনে যেন ইতিহাস নিজেই কেঁপে ওঠে। কারণ, যারা ১৯৭১ সালে এই দেশের জন্ম চায়নি, যারা পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর ছিল, যারা আলবদর বাহিনী বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে হত্যা করেছিল, তারাই আজ দেশের “ভবিষ্যৎ রক্ষা”র কথা বলছে!
এই জামায়াত কি ভুলে গেছে, তারা একাধিকবার নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে? এরা ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল, শত শত নারীকে ধর্ষণ করেছিল, হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা বা পঙ্গু করেছিল। এরা সেই দল, যারা নির্বাচন আর গণতন্ত্রকে কখনোই সম্মান করেনি—তাদের কাছে এসব কেবল সুযোগ, আর দখলের পথ।
আর তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির—এ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ, অস্ত্র, খুন, পেট্রোল বোমা আর গলা কেটে হত্যার ভয়াবহ অধ্যায়ের নাম। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংগঠন রক্তাক্ত রাজনীতির প্রতীক। তারা মিলিট্যান্ট কার্যক্রম চালিয়েছে, গোপন ঘাঁটি বানিয়েছে, মাদ্রাসার ছেলেদের ব্রেনওয়াশ করে জঙ্গি বানিয়েছে। এই শিবিরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একাধিকবার ‘মিলিট্যান্ট অর্গানাইজেশন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এখন সেই জামায়াত “ন্যায়বিচার” চায়? এরা যেদিন ক্ষমতায় ছিল, সেদিনই তো বিচারব্যবস্থার ওপর চেপে বসে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে লবিং করেছিল। তাদের রাজনৈতিক ফিন্যান্সিং এসেছিল মধ্যপ্রাচ্যের অন্ধকার উৎস থেকে, যেখানে ধর্মের নামে রাষ্ট্র দখলের কৌশল শেখানো হয়। আজ সেই গোষ্ঠী যখন “নিরপেক্ষ নির্বাচন”র দাবি তোলে, তখন সেটা জনগণের মুখে থুথু মারা ছাড়া আর কিছু নয়।
আর অন্তর্বর্তী সরকার—তারা এই দাবি নিয়ে নিরুত্তর। কারণ তারাও জানে, এই সরকারের ভিতরেই জামাতপন্থী চক্র সক্রিয়। সরকার আজ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করেছে, ১৫ আগস্টের শোক দিবস বাতিল করেছে, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছে—এ সবই জামায়াত-বিএনপির বহু পুরনো চাওয়া। আজ তারা সরকারের ছায়ায় দাঁড়িয়ে নিজেরাই ‘বিকল্প শক্তি’ হিসেবে জনগণকে ভুল পথে নিতে চাইছে।
আমরা বলছি—যারা একসময় ভোট দিতে বারণ করেছিল, তারা আজ ভোট চায়! যারা বাংলাদেশের জন্ম চায়নি, তারা আজ তার নেতৃত্ব চায়! এভাবে ইতিহাস ধামাচাপা দিয়ে, জাতিকে ভুলিয়ে, রাজাকারদের ফেরত আনা যাবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এ দেশ আবার সঠিক পথে ফিরবে, আর জামায়াত-শিবিরের ভোটের নাটক বাংলার মাটিতে কখনো বাস্তব হবে না।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
Tore sedaia tukra tukra kormu kali desh o aia para mar😡
হনু বইয়া আদুম ছুদুম মাতিরায়।তুই দেশো আয়,তোরে লেমটা করিয়া মারমু।বোকাচোদা,তোরে দিয়া শান্ডার তেল বানাইমু