জাতীয় নির্বাচনকে এড়াতে স্থানীয় নির্বাচনের নাটক—বিএনপির মুখে আপত্তি আসলে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার ব্যাকুলতা

আজ ১১ জানুয়ারি ২০২৫। বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা আজ সরবভাবে বিরোধিতা করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে। তাদের ভাষ্য—এটা নাকি জাতীয় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে জনগণের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়ার কৌশল। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে, বিএনপি নিজেরাই এখন নির্বাচনের জন্য নয়, বরং নির্বাচনের মঞ্চ কে কতটা ‘খালি’ রাখা যায়, সে হিসাবেই বেশি ব্যস্ত।

বিএনপির এই প্রতিবাদ আসলে একরকম দ্বিচারিতা। এরা একদিকে বলে “নির্বাচন চাই”, আবার অন্যদিকে যখনই সামান্য নির্বাচনী হাওয়া লাগে, তখন নানা ছুতোয় পিছু হটে। কারণ একটাই—এরা চায় একটি এমন নির্বাচন, যেখানে আওয়ামী লীগ থাকবে না, শেখ হাসিনার নাম থাকবে না, মাঠে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে না। এদের নির্বাচনপ্রীতি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা নয়, বরং একটা তামাশার সুযোগ খোঁজার নাম।

২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেই বিএনপি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে, পৌরসভা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত গঠিত হয়েছিল হাওয়া ভবনের দালাল আর চাঁদাবাজদের নিয়ে। তখন গ্রামে গ্রামে চাঁদা, খাজনা আর দখলের রাজত্ব চালু হয়েছিল। আজ তারাই বলছে—“স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনকে ধোঁকা দেবে।” আসলে তারা জানে, এখন যদি স্থানীয় নির্বাচন হয়, তাহলে মানুষের রায় আবারও শেখ হাসিনার পক্ষেই যাবে—আর সেই রায়ের প্রতিচ্ছবি জাতীয় নির্বাচনেও দেখা যাবে। তাই তারা এখন কৌশলে নির্বাচন থেকে সরতে চাইছে।

আর এই নাটক মঞ্চস্থ করতে সাহায্য করছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারা একদিকে নিজেদের “নিরপেক্ষ” দাবি করছে, আবার অন্যদিকে বিএনপির প্রতিটি দাবি একে একে বাস্তবায়ন করে দিচ্ছে। আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেপ্তার, পরে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ, এরপর বঙ্গবন্ধুর দিবস বাতিল—সবকিছু যেন বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে পড়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে ব্যাকপ্যাডেল করার মাধ্যমে তারাই জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।

আমরা বলছি—বিএনপি নির্বাচন চায় না, চায় একটি ‘ফাঁকা মাঠ’, চায় প্রতিযোগিতা ছাড়া ক্ষমতা। আর এই অন্তর্বর্তী সরকার সেই ফাঁকা মাঠ পরিষ্কার করে দিচ্ছে ধাপে ধাপে। জাতিকে বোঝানো হচ্ছে—এটিই গণতন্ত্র। অথচ গণতন্ত্র মানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নেতৃত্বের লড়াই, জনরায়ের শ্রদ্ধা। এই যে আজ স্থানীয় নির্বাচনেও ছুতো তুলে পিছিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে—এটাই প্রমাণ করে, এই সরকার ও বিএনপি একসঙ্গে জাতির সঙ্গে তামাশা চালাচ্ছে।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

3 thoughts on “জাতীয় নির্বাচনকে এড়াতে স্থানীয় নির্বাচনের নাটক—বিএনপির মুখে আপত্তি আসলে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার ব্যাকুলতা”

  1. একটা একটা আওয়ামিলীগ ধর আর ধরইয়া ধরইয়া জবাই কর🪓🗡️

  2. তোদের মতো কুলাংকার এই দেশের মাটিতে পা রাখা মাত্র তোকে ক্রস ফায়ার করে মারা উচিত।

Leave a reply to কামাল আহমেদ Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *