চট্টগ্রামে ছাত্রদলের হামলা—পুনরায় অস্থিরতা তৈরির সেই পুরনো চক্রান্ত

আজ ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। চট্টগ্রামের আলহাজ মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজে ছাত্রদলের সদস্যরা হামলা চালিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী উপর। এই ঘটনায় আবারও স্পষ্ট হয়েছে—বিএনপি ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল কোনোদিনই গঠনমূলক রাজনীতি বোঝে না, তারা জানে শুধু সহিংসতা, বিভ্রান্তি আর দখলের রাজনীতি।

ছাত্রদলের ইতিহাসটা নতুন কিছু না। এই দলটা মূলত তৈরি হয়েছিল ক্যাম্পাস দখলের জন্য, গুলির রাজনীতি চালানোর জন্য, অস্ত্রের মাধ্যমে ভয় সৃষ্টি করার জন্য। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রদল ছিল বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে এক আতঙ্কের নাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়—যেখানে ছাত্রদল পা রেখেছে, সেখানে বইয়ের বদলে গর্জে উঠেছে বন্দুক, আলোচনার জায়গায় হয়েছে রক্তপাত। আজকের হামলা সেই একই ইতিহাসের ধারাবাহিকতা।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সহিংস ছাত্র রাজনীতিকে দমন করে শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল শান্তি ও পাঠক্রমের নিয়মিততা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি, ক্যাম্পাস নিরাপত্তা বাহিনী, একাডেমিক ক্যালেন্ডারের কড়া বাস্তবায়ন, এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গন আবার শিক্ষার জায়গা হয়েছিল—ভয়, ত্রাস আর আগুনের নয়।

কিন্তু আজ, যখন সেই শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিয়ে একটি অবৈধ, অস্থায়ী ও দায়িত্বহীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার নাম করে নাটক চালাচ্ছে—তখন আবার সেই পুরনো দানব ছাত্রদল ক্যাম্পাসে ফিরে আসছে। এই সরকার মুখে বলে “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বাধীনতা”, কিন্তু বাস্তবে তারা ছাত্রদলের মতো সহিংস সংগঠনের হামলার বিরুদ্ধে একটি কথাও বলছে না। কারণ তারা জানে, এই হামলাকারীরাই একদিন তাদের আসল রাজনীতির মূল ভিত্তি হবে।

এই যে জাতীয় নাগরিক কমিটির ওপর হামলা, এর মধ্যেও রয়েছে নাটক। এই তথাকথিত কমিটির রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়েই রয়েছে বিতর্ক। কিন্তু এর ওপর ছাত্রদলের হামলা দেখিয়ে বিএনপি এখন উল্টো নৈতিকতার মুখোশ পরে মিডিয়ায় চিৎকার করবে—“দমন চলছে”, “গণতন্ত্র নেই”—এই কৌশল তারা আগেও করেছে, আবারও করছে।

আমরা বলছি—বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি শেখ হাসিনার সময়ে একটি দায়িত্বশীল কাঠামো পেয়েছিল। আজ সেই কাঠামো ভেঙে দিয়ে ছাত্রদলের মতো গুণ্ডা সংগঠনগুলোর হাতে শিক্ষাঙ্গন তুলে দেওয়া মানে দেশকে আবার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া। যারা এইসব হামলার রাজনীতি করে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। আর যারা এইসব হামলাকে প্রশ্রয় দেয়, সেই অন্তর্বর্তী সরকারও জানুক—দেশের মানুষ এসব কৌশল আর বিশ্বাস করে না।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

2 thoughts on “চট্টগ্রামে ছাত্রদলের হামলা—পুনরায় অস্থিরতা তৈরির সেই পুরনো চক্রান্ত”

  1. তোরা না জামায়াত কে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলে,কই এবার তোর দল সহ তোর জাতির মা সবাই নিষিদ্ধ হয়ে গেলো।
    যুগে যুগে যতো কাফির,মুশরিক ও ফেরাউনের মতো জাতি গোষ্ঠী মাথাজারা দিয়ে উপরে উঠতে চেয়েছিলে তাদের অহংকার ও আধিপত্য কে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছেন উপরওয়ালা ✊✊
    এবার তোদের জাতির মা সহ তোকে দাফন দেওয়ার পালা🪓🗡️✊

  2. ড.ইউনুস তোদের নেতা-কর্মীদের ফাঁসির মঞ্চ তৈরি পারুক বা না পারুক, তোর ফাঁসির ব্যবস্তা আমরা করবো ইনশাআল্লাহ ✊✊

Leave a reply to Torikul Islam Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *