গুলশানের ওয়েস্টিনে জামায়াতের “রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা”—যারা দেশ চায়নি, আজ তারাই দেশ বদলাতে চায়!
আজ ৯ অক্টোবর ২০২৪। রাজধানীর অভিজাত হোটেল ওয়েস্টিনে আজ এক নাটকীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নামক যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী তাদের তথাকথিত “রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা” উপস্থাপন করেছে। তারা বলছে, তারা নাকি জাতীয় পুনর্গঠন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা করছে। এই কথা শুনে জাতি বিস্মিত নয়—ক্ষুব্ধ। কারণ, যাদের কারণে এই রাষ্ট্রের জন্মদানের সময় লাখো মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে, তারাই আজ সেই রাষ্ট্রকে “সংস্কার” করার কথা বলছে!
জামায়াত হলো সেই দল, যারা ১৯৭১ সালে প্রকাশ্যভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল, যারা এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতা চায়নি, যারা আলবদর-রাজাকার বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করে জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল। আজ সেই জামায়াত যদি রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলে, তাহলে এর চেয়ে বড় ভণ্ডামি আর কী হতে পারে?
এই দলের কোন নেতার হাত রক্তে রঞ্জিত নয়? যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী—তাদের প্রত্যেকের নাম বাংলাদেশের ইতিহাসের ঘৃণিত অধ্যায়ে লেখা আছে। আজ তারা নতুন প্রজন্মের মুখোশ পরে আবার ফিরছে, “গণতন্ত্র”, “সংবিধান”, “সংস্কার”—এই শব্দগুলো ব্যবহার করে নিজেদের হালাল বানাতে চাইছে। তারা বলছে—নির্বাচনের পদ্ধতি বদলাবে, বিচারব্যবস্থা সংস্কার করবে! এরা কী করে বিচারব্যবস্থা নিয়ে কথা বলে, যাদের অধিকাংশ নেতা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত?
তাদের ছাত্রসংগঠন শিবির—এ দেশের ক্যাম্পাসগুলোর ইতিহাসে কালো অধ্যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজশাহী, খুলনা, সিলেট—প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারা ছুরি, বন্দুক, ককটেল নিয়ে হামলা চালিয়েছে। শিক্ষক হত্যা করেছে, ছাত্রলীগ কর্মীদের চোখ উপড়ে দিয়েছে, ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করেছে। বুদ্ধিজীবী হত্যার যে অপসংস্কৃতি তারা জন্ম দিয়েছে, তা এখনো বাংলাদেশের বুক থেকে মুছে যায়নি।
শিবিরের হাত ধরে বাংলাদেশে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ ঢুকে পড়েছিল। এরা ছিল জেএমবি-হুজির জন্মদাতা। ২০০৫ সালে একযোগে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা চালানোর পেছনেও ছিল এই গোষ্ঠী। এত শত অপরাধ, এত রক্তাক্ত ইতিহাস—এই জামায়াত যদি আজ বলে তারা “রাষ্ট্র সংস্কার” করবে, তাহলে এর চেয়ে বড় প্রহসন, এর চেয়ে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আর কিছু হতে পারে না।
তাদের এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য শুধু প্রস্তাবনা উপস্থাপন নয়, বরং নিজেদের আন্তর্জাতিকভাবে বৈধতা প্রতিষ্ঠা করা। তারা চায় বিশ্বের চোখে প্রগতিশীল মুখোশ পরে নিজেদের স্বীকৃতি আদায় করতে। আর এই সুযোগ এনে দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ড. ইউনূস ও তার সহচরদের প্রশ্রয়েই আজ রাজাকারপন্থী গোষ্ঠী এভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে।
অন্তর্বর্তী সরকার আজ প্রমাণ করেছে—তারা আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দেশকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের হাতে তুলে দিতে চায়। রাষ্ট্রকে নতুন করে সাজানোর নামে, সংবিধান বদলানোর নামে, এই সব যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীকে মঞ্চে টেনে আনছে। জামায়াত যদি রাষ্ট্র সংস্কারের ভাষণ দেয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে এই সরকার আসলে কার পক্ষে, কী উদ্দেশ্যে তারা রাষ্ট্র চালাচ্ছে।
আমরা বলছি—এরা দেশ চায়নি, আজ তারা দেশ চালাতে চায়। এরা পাকিস্তানের দাস ছিল, আজ তারা বাংলাদেশের অভিভাবক সাজতে চায়। এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে। জামায়াতের মুখোশ ছিঁড়ে ফেলতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এই রাষ্ট্র আবার নিজের পথে ফিরবে, মুক্তিযুদ্ধের পথে চলবে। এই অপশক্তিকে আর এক মুহূর্তও ছাড় দেওয়া যাবে না।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
Bidesh boiya boiya post dire, tor jodi soth shahosh takto are oto lig prem te Desho aiya mat, dekhle onee tore kila jobo kori.
Amra desh bodlaimu
Tor dol or etay kissu korte parta na
Chul o cirte parta na tui kgu aicot
Gum kori tor body pawder kori mas re kawaimu awamilig korra aicot tui lamba rod toici pailoi ekbar tore
Bidesh theke post diccho, nijekhe onek boro leader vabso?
Shekh hasina palaise, tumi asho airport e namar pore jibito ber hote parbe kina sondeho.