আনসার বাহিনীর ৮১ বিচার কর্মকর্তাকে বদলি ও ট্রাইব্যুনালের তদন্ত—অন্তর্বর্তী সরকারের গণবিরোধী ছক আরও স্পষ্ট

আজ ৩০ আগস্ট ২০২৪। দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর অভ্যন্তরীণ কাঠামো এবং মুক্তিযুদ্ধের বিচার প্রক্রিয়া আজ চরম সংকটের মুখে। একদিকে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর ৮১ জন অভ্যন্তরীণ বিচার কর্মকর্তা—যারা বাহিনীর ভিতরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত—তাদের একযোগে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে “গণহত্যা” ও “মানবতাবিরোধী অপরাধ”-এর অভিযোগে তিনটি মামলার তদন্ত শুরু করেছে। এই দুইটি ঘটনা শুধুই প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়—এই দুটি সিদ্ধান্ত একই সূতার অংশ, যার নাম: রাজনৈতিক নির্মূল অভিযান।

আনসার বাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিচার কর্মকর্তাদের এই গণবদলি কোনো নিয়মিত প্রশাসনিক রদবদল নয়, এটা একটি বার্তা—যারা অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলবে, তাদের জায়গা বদলে দাও, ভয় দেখাও, অথবা মঞ্চ থেকে সরিয়ে দাও। সম্প্রতি সচিবালয় চত্বরে আনসার সদস্যদের বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গণগ্রেফতার হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটেই এই বদলির সিদ্ধান্ত—কিন্তু মূলত এটি একটি প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। বাহিনীর ভেতরে যারা সাহস করে মুখ খুলেছিল, তাদের চুপ করানোর কৌশল এখন এই “বদলি”।

এটা কেবল একটি বাহিনীকে দমন করার প্রশ্ন নয়—এটি একটি বার্তা দেশের সকল নিরাপত্তা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠানে: “আওয়ামী লীগকে সমর্থন করলে বা আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে, তোমার পরিণতি হবে বদলি, বঞ্চনা, কিংবা গ্রেফতার।”

এই পরিস্থিতির মধ্যেই আরেকটি গভীর ষড়যন্ত্রের চিত্র ফুটে উঠেছে—যেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেই “গণহত্যা” ও “মানবতাবিরোধী অপরাধ”-এর অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। এক সময় এই ট্রাইব্যুনাল ছিল মুক্তিযুদ্ধের গর্ব, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রধান মাধ্যম। অথচ আজ, সেই ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিক তার বিপরীত উদ্দেশ্যে—যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, এখন তাদের বিরুদ্ধে উল্টো বিচার শুরু হচ্ছে।

এই ঘটনার পেছনে জামাত-বিএনপির ছায়া এতটাই স্পষ্ট যে চোখ বন্ধ করলেও বোঝা যায়। তারা এখন ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের ছত্রছায়ায় সেই সকল প্রতিশোধপরায়ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে, যেগুলো এত বছর ধরে ব্যর্থ হয়েছে। তারা চায় না জনগণ জানুক, শেখ হাসিনা কেমন করে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, কেমন করে ইতিহাসের ভুলগুলোকে সংশোধন করেছেন। তাই এখন মিথ্যা মামলা, বদলি, তদন্ত—সবকিছুর পেছনে তাদের একটাই উদ্দেশ্য: আওয়ামী লীগকে অপরাধী বানাও, শেখ হাসিনার ইতিহাস মুছে ফেলো, জামাত-বিএনপির জন্য মাঠ পরিষ্কার করো।

আজ যারা আনসার বাহিনীর অফিসারদের বদলি করছে, তারা আগামী দিনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবেও এই একই কৌশল প্রয়োগ করবে। যারা শেখ হাসিনার সরকারের আমলে প্রশিক্ষিত হয়েছে, দেশপ্রেমিক ভূমিকা রেখেছে—তাদের একে একে সরিয়ে এমন লোক বসানো হবে যারা অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাধাহীনভাবে কাজ করবে।

আমরা বলছি—এটি কোনো সাধারণ প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়। এটি একটি জাতীয় ষড়যন্ত্র। এটি নির্বাচনের আগে মাঠ পরিষ্কার করার একটি নির্মম কৌশল। এটি একটি জামাত-বিএনপি-অন্তর্বর্তী ত্রিমুখী পরিকল্পনা—যার লক্ষ্য শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, এবং মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংস করা।

কিন্তু জাতি জেগে আছে। এই ষড়যন্ত্র যতই গভীর হোক না কেন, এই দেশের মাটি বঙ্গবন্ধুর, এই দেশের নেতৃত্ব শেখ হাসিনার। ইতিহাসের দিকে যারা ছুরি চালাতে চায়, তারা নিজেরাই ইতিহাসে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

4 thoughts on “আনসার বাহিনীর ৮১ বিচার কর্মকর্তাকে বদলি ও ট্রাইব্যুনালের তদন্ত—অন্তর্বর্তী সরকারের গণবিরোধী ছক আরও স্পষ্ট”

  1. পুলিশ খোজের তরে মন রাকিস পুলিশ পাইলে লেমটা করি বাদাম দিবো,আয় দেশে

  2. পুলিশ তর বাড়ি ঘর ,তর আত্নীয় প্রত্যেকের বাড়ি তরে খোজের আর তুই বিদেশ বসে পোস্ট করতাছত ।মাদার চুদ সাহস তাকলে দেশে আয়। বিমানবন্দর থেকে লাশ খোজিয়া নেওয়ার মতন মানুষ পাবে না ।ওলা তর অবস্থা করবো।

  3. এই বিদেশের মাটিত বইয়া বেটিগিরি করিসনা , বিদেশের মাটিত বইয়া তর আওয়ামী পন্তী সাথে যোগাযোগ করিয়া পোস্ট দেওয়া বন্ধ কর।তরে দেশে পাইলে লেমটা করি পাবলিক গনো পিটুনি দিবো ।তুই দেশো মাদারচুদ

  4. যদি একবার তর চেহারা টা দেকি, এমন হাল করবো দ্বিতীয় বার তর মুখে দি কেউ চাইবেনা।তুই দেশে আয় শুধু সাহস তাকলে

Leave a reply to janat Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *