‘আন্দোলন’ নয়, সহিংস তাণ্ডব—আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে অপপ্রচার ও প্রকৃত ঘটনা
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা। ঢাকার শাহবাগ, নীলক্ষেত, চট্টগ্রামের জিইসি মোড় থেকে শুরু করে রংপুর, সিলেট, খুলনা পর্যন্ত উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
এই দিনেই ঘটে সবচেয়ে আলোচিত ও দুঃখজনক ঘটনা—রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যু।
তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের সাথে সংঘর্ষে সহিংস হয়ে উঠেছিল একটি বিক্ষুব্ধ গ্রুপ। দফায় দফায় পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল, সরকারি ভবন লক্ষ্য করে হামলা, আগুন দেওয়ার চেষ্টা—সবই ছিল পূর্বপরিকল্পিত তাণ্ডবের অংশ।
পুলিশ তখন রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
এই সময়েই আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে মারা যান।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়নি। তারা শুধুমাত্র সহিংস জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ব্যবহার করে, যা আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কিন্তু যেখানে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর আগুন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, সেখানে জীবন বাঁচানোই হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন হচ্ছে—রাবার বুলেটে মানুষ মারা যায়?
না। তবে যদি একজন সহিংস উত্তেজিত জনতার মাঝখানে পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে পড়ে, তখন অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।
এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও, তাকে কেন্দ্র করে গুজব, মিথ্যাচার ও সরকারবিরোধী অপপ্রচার আরও ছড়িয়ে পড়েছে—যার পেছনে স্পষ্টভাবে জামায়াত-শিবির-বিএনপির গোপন পরিচালনা রয়েছে।
আজ যখন রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢাল বানিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তখন শুধু পুলিশ বা প্রশাসন নয়—জনগণকেই প্রতিরোধের সম্মুখভাগে আসতে হবে।
আবু সাঈদের মৃত্যু যদি সত্যিই ব্যথার হয়—তবে সেই ব্যথাকে ছড়ানো ষড়যন্ত্রে রূপান্তর করা যাবে না।
তার মৃত্যুর দায় সেই উত্তেজনাকর দলে, যারা তাকে সহিংস উত্তেজনার মাঝে ঠেলে দিয়েছে।
এখনই সময়—কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, শিক্ষক ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক ছাত্রদের একত্রিত হয়ে বলতে হবে—”এই রাষ্ট্র কাউকে পুড়িয়ে ফেলতে দেবে না। জামায়াত-শিবিরের উত্তরসূরিদের আর বাংলাদেশে ঠাঁই নেই।”
আবু সাঈদের মৃত্যুর দিনটি আমাদের মনে রাখতেই হবে—কিন্তু সঠিকভাবে, প্রোপাগান্ডা নয়।
সরকার তদন্ত শুরু করেছে,যদি কেউ দায়িত্বে গাফিলতি করে থাকে, শাস্তি হবে।
কিন্তু তাতে আন্দোলনের নামে রাস্তায় আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, বিদেশি মিডিয়ায় অপপ্রচার, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক স্লোগান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আজ আমাদের বলতে হবে—আন্দোলন চাই, তবে শান্তিপূর্ণ ও যুক্তিনির্ভর।
তাণ্ডব নয়, তদন্ত চাই।
সত্য চাই, তবে ষড়যন্ত্রের ছায়া ছাড়াই।