ঢাকাজুড়ে অবরোধ—আন্দোলনের আড়ালে জামায়াত-বিএনপির সক্রিয় চক্রান্ত

আজ ঢাকা শহরের শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নীলক্ষেত, ফার্মগেট, বাংলা মোটর, পলাশীসহ অন্তত ১২টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের ব্যানারে একযোগে সড়ক অবরোধ করা হয়।
তাদের দাবি একটাই—২০১৮ সালের কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল করতে হবে। তবে আন্দোলনের ধরন, নেতৃত্ব ও ভাষা দেখে বিশ্লেষকরা স্পষ্ট করে বলছেন—এটি এখন আর নিরীহ ছাত্র আন্দোলন নেই, এটি রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তে রূপ নিচ্ছে।

এই আন্দোলনের প্রভাব পড়ছে অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগে—যা একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।

বিশ্বস্ত সূত্র অনুযায়ী, চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থী আন্দোলনের ব্যানারে যেসব নেতা মিডিয়া ও মিছিলে সক্রিয়, তাদের মধ্যে অন্তত ৫ জন জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্রশিবিরের প্রাক্তন/বর্তমান কর্মী।
উল্লেখযোগ্য কয়েকজন নাম:

  • মোঃ হানিফুল ইসলাম (ঢাবি, গণিত বিভাগ) — ২০২০ সালে ছাত্রশিবিরের হল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

  • রাশেদ মাহমুদ (সাবেক পলিটেকনিক ছাত্র) — বিএনপির যুবদল ঘনিষ্ঠ বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ।

  • মোস্তাফিজ রাফি (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী) — ২০২২ সালে জামায়াতের মিডিয়া সেলের ফেসবুক একটিভিস্ট হিসেবে চিহ্নিত।

তারা মুখে বলছেন “মেধার পক্ষে”, কিন্তু পেছনে চালাচ্ছেন “সরকার পতনের রাজনৈতিক স্ক্রিপ্ট”।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বলেছেন:

“সরকার কখনো ছাত্রদের দাবিকে অস্বীকার করেনি। ২০১৮ সালেও আমরা তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়েছিলাম। এবারও সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চায়। তবে যারা এই পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক অরাজকতায় পরিণত করতে চায়, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।”

সরকারের আইন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে—৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হবে।
এটি একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া, এবং সরকার আইনি পথে সমস্যার সমাধানে অঙ্গীকারবদ্ধ।

আপনাদের অধিকারের প্রতি সরকার শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু যারা আপনাদের মাঠে নামিয়ে নিজের ব্যর্থ রাজনীতি ঢাকতে চাইছে, তারা কখনোই ছাত্রদের মঙ্গল চায়নি।
২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা শিক্ষক ও ছাত্রদের রক্ত ঝরিয়েছে, তারা আজ “মেধার নামে” মুখোশ পরে মাঠে নেমেছে।

আপনারা কি জানেন—এই আন্দোলনের সুযোগে জামায়াত-বিএনপি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় “অস্থির বাংলাদেশ” দেখাতে চায়, যেন দেশের উন্নয়ন থেমে যায়?

  • ৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে আপিলের প্রস্তুতি সম্পন্ন।

  • শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিশেষ পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

  • পুলিশের প্রতি নির্দেশ—বিনা উসকানিতে কোনো শক্তি প্রয়োগ নয়, তবে বিশৃঙ্খলা কঠোর হাতে দমন করা হবে।

আন্দোলন চলছেই, কিন্তু এখন প্রশ্ন—এই আন্দোলনের কণ্ঠস্বর কারা নিয়ন্ত্রণ করছে?
আপনাদের যৌক্তিক দাবির নাম ভাঙিয়ে কেউ যেন ষড়যন্ত্র না চালায়।

সরকার আলোচনার পক্ষে, শিক্ষার্থীদের পক্ষে—কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তের বিপক্ষে কঠোর।
এখন সময়—বেছে নেওয়ার, আপনি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আলোচনার পথে যাবেন, নাকি মুখোশধারীদের হাতিয়ার হবেন?

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *