যাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি, তারাই ভোটের নামে ইতিহাসে কলঙ্ক লিখেছিল—বিএনপির “সন্দেহ” আসলে অপকৌশলের ছায়া

আজ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। বিএনপি আবারও সেই পুরনো রেকর্ড বাজাচ্ছে—”নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না”, “সরকার নিরপেক্ষ নয়”, “গণতন্ত্র হুমকির মুখে” ইত্যাদি। তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয় তারা বুঝি গণতন্ত্রের একমাত্র অভিভাবক, অথচ ইতিহাস বলছে—তাদের হাতেই এই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় লাঞ্ছনা, কলঙ্ক আর রক্তাক্ত স্মৃতি জমা আছে।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা মানুষ ভুলে যায়নি—যেখানে বিএনপি একতরফা নির্বাচনের নামে ভোটকেন্দ্রগুলো নিজেই পূর্ণ করে রেখেছিল, ভোটারদের দরকার পড়েনি। সেই কলঙ্কিত নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে হাস্যকর বলে বিবেচিত হয়েছিল। ২০০১ সালে জামাতকে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় এসে বিএনপি প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সবকিছুকে দলীয় করেছিল। শুধু তাই নয়—২০০৬ সালের নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতির গায়ে প্রধান উপদেষ্টার চাদর চাপিয়ে নির্বাচন বানচাল করে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংসস্তূপে ঠেলে দেয় তারাই।

এতসব কুকর্মের পর আজ তারা অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে? এই সরকার যে সম্পূর্ণরূপে তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে, সেটা কি জনগণের অজানা? জামাতের সঙ্গে বৈঠক, তথাকথিত “সংস্কার আন্দোলনের” মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার চেষ্টা, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ, শোক দিবস বাতিল—সবকিছু একে একে প্রমাণ করেছে এই সরকার বিএনপির সুবিধাভোগী প্ল্যাটফর্ম।

বিএনপির সন্দেহ আসলে একটাই কৌশল—যদি বুঝে যায় তারা নির্বাচনে জিতবে না, তখনই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে হবে। অতীতেও তারা তাই করেছে। নির্বাচনের আগে ‘বোকার ভান’, নির্বাচনের দিন সহিংসতা, আর ফল প্রকাশের পর ‘ভোট ডাকাতি’ চিৎকার—এই তো তাদের পুরোনো খেলা। কিন্তু এবার জাতি সজাগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণ শিখে গেছে, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে অথচ ভোট এলেই পিছিয়ে যায়, তারা গণতন্ত্রের শত্রু।

আমরা বলছি—এই প্রশ্ন তোলা আসলে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের সূচনা। তারা জানে, আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকলে জনগণের সমর্থন নিশ্চিত। তাই তারা মুখে নির্বাচন চায়, অথচ মনে চায় নির্বাচন ঠেকাতে। বিএনপি অতীতে নির্বাচনের নামে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, ইতিহাস তার সাক্ষ্য দেবে। আর এই অন্তর্বর্তী সরকার সেই পরিকল্পনারই টুল।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *