“অপারেশন ডেভিল হান্ট” নয়—এটি আওয়ামী লীগ নিধনের রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। গাজীপুরে তথাকথিত ছাত্র নির্যাতনের প্রতিবাদ দেখিয়ে আজ সারা দেশে শুরু হয়েছে এক ভয়াবহ অভিযান—নাম দেওয়া হয়েছে “অপারেশন ডেভিল হান্ট”। শিরোনাম শুনলে মনে হয় বুঝি কোনো জঙ্গি দমন অভিযান চলছে। বাস্তব চিত্র? মাঠে নামানো হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, আর নিশানা একটাই—আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এই অপারেশন যতটা না অপরাধ দমন, তার চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগের ওপর প্রতিশোধ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের কেন্দ্র পর্যন্ত যেসব মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, যারা এখনও বঙ্গবন্ধুর ছবিকে বুকে রাখে, যাদের বাড়িতে শেখ হাসিনার ছবি টাঙানো—তাদের আজ চিহ্নিত করে দমন করা হচ্ছে। অথচ যারা ২১ আগস্টে গ্রেনেড ছুঁড়েছিল, যারা ২০১৩–১৪ তে আগুনে মানুষ পুড়িয়েছে, যারা যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত, যারা ক্যাম্পাসে অস্ত্র চালায়—তাদের একজনের গায়েও হাত পড়ছে না।
এই “অপারেশন” আসলে একটিই উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে—আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। এর পেছনে রয়েছে জামাত-বিএনপির যৌথ নকশা। গত ছয় মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপই দেখিয়ে দিয়েছে—তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও কাজে জামাত-শিবিরের হুবহু কৌশল অনুসরণ করছে। তারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মুছে দিচ্ছে, ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল করছে, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করছে, শোক দিবসকে অস্বীকার করছে। এখন তারা সরাসরি “শুদ্ধি অভিযানের” নামে আওয়ামী লীগের গায়ে “ডেভিল” ট্যাগ লাগিয়ে হত্যা-গ্রেপ্তার-নির্যাতনের লাইসেন্স চালু করেছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন আন্তর্জাতিক মহলে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল, সেই সময়েই এই রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ গোপনে নকশা করছিল—“কীভাবে আওয়ামী লীগকে মাইনাস করা যায়।” আজ “অপারেশন ডেভিল হান্ট” সেই নকশারই বাস্তবায়ন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো—একটি গণতান্ত্রিক দেশে কেবল একটি দলের নেতা-কর্মীদের কেন টার্গেট করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট: কারণ আওয়ামী লীগ এখনও জনগণের আস্থার প্রতীক, শেখ হাসিনা এখনও জনগণের নেত্রী, আর বঙ্গবন্ধুর নাম আজও শোষণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ।
আমরা বলছি—এই অপারেশন জনগণের নয়, এটি একটি প্রতিহিংসাপরায়ণ ষড়যন্ত্র। এই ডেভিল হান্ট নয়, এটি “ডেমোক্রেসি হান্ট”। কিন্তু জনগণ জানে—আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয় না। তারা যতই শুদ্ধি অভিযান চালাক, যতই প্রোপাগান্ডা ছড়াক, আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে। এই মাটিতেই, এই বাংলার বুকেই।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।