আওয়ামী লীগের হরতাল মানেই জাতির মুক্তির ডাক—দমন-পীড়নে ভয় পায় না যাদের রক্তে আছে ৭১-এর চেতনা
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী ঘোষণা দিয়েছেন—আওয়ামী লীগের হরতাল কর্মসূচি মোকাবেলায় রাজধানীজুড়ে প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কীসের মোকাবেলা? কার বিরুদ্ধে? আওয়ামী লীগ যখন রাস্তায় নামে, তারা নামে ইতিহাস রক্ষায়, সংবিধান বাঁচাতে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। তারা নামে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পতাকা উঁচু করে। তাদের প্রতিরোধ মানে গণতন্ত্রের শত্রুদের বিরুদ্ধে জাতীয় রায়।
এই হরতাল কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের মতলব নয়। এটি জন্ম নিয়েছে অন্যায়, অবিচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। আজ এই হরতাল সেই আওয়ামী লীগের হরতাল—যে দল পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ৯০-র দশকে রাজপথ কাঁপিয়েছিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সারাদেশ জাগিয়ে তুলেছিল। আজকের হরতালও সেই একই চেতনার ধারাবাহিকতা—অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকার এবং তাদের বিদেশি মদদপুষ্ট দোসরদের বিরুদ্ধে এক জাগরণ।
আওয়ামী লীগের হরতাল মানেই জনগণের হরতাল। তারা জানে, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মানেই দেশ উন্নয়নের পথে, দেশের স্বাধীনতা নিরাপদ। আজ যখন সেই শেখ হাসিনাকে সরিয়ে, ভোটচুরি নয়—ভোটবিহীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, যখন রাষ্ট্রপতির নাম ব্যবহার করে মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে—তখন আওয়ামী লীগ নীরব থাকতে পারে না।
এই হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলেও, প্রশাসনের মনোভাবেই বোঝা যায়—সরকার কতটা ভয় পেয়েছে। কারণ তারা জানে, আওয়ামী লীগের রাজপথে ফিরে আসা মানেই তাদের অবৈধ সিংহাসনের ভিত কেঁপে ওঠা। অতীতে আওয়ামী লীগের একেকটি আন্দোলন ছিল জনগণের ভোটের বিজয়গাথা—২০১৩ সালে জামাত-শিবিরের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই, ২০১৪ সালে নির্বাচন-প্রতিরোধের নামে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, ২০১৮ সালে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা—এই সব আন্দোলনই আজ ইতিহাস।
আজকের হরতালও ইতিহাসেরই অংশ হবে—যেখানে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী প্রমাণ করবে, তারা শুধু দল নয়, তারা জাতির পক্ষে লড়াই করা একটি আদর্শিক সৈনিকবাহিনী।
আমরা বলছি—এই হরতাল গণতন্ত্রের রক্ষা কবচ, এটি রক্তে কেনা রাষ্ট্রের আত্মার ডাক। এই আওয়ামী লীগকে দমন করে ইতিহাস থামানো যায় না। এই কর্মসূচি চলবে, আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত দেশ ফিরে পায় তার বৈধ নেতৃত্ব, শেখ হাসিনাকে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।