বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা—যেখানে শেখ হাসিনার আলোয় আলোকিত ছিল দেশ, সেখানে আজ অন্ধকারে অন্তর্বর্তী সরকার

আজ ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থাগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে আগামী গ্রীষ্মে দেশে ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিতে পারে। কারণ, সরকার তাদের ৮,০০০ কোটি টাকার পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলাফল হবে ভয়াবহ—ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং, শিল্প উৎপাদনে স্থবিরতা, কৃষিতে বিপর্যয় এবং জনজীবনে চরম দুর্ভোগ। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ব্যর্থতার দায় কার?

এই পরিস্থিতির বিপরীতে যদি আমরা ফিরে তাকাই শেখ হাসিনার সময়ের দিকে, তাহলে দেখি সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চিত্র। ২০০৯ সালে যখন তিনি ক্ষমতায় এলেন, তখন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মাত্র ৩,২০০ মেগাওয়াট। আর ২০২৪ সালে তিনি বিদায় নেন এমন একটি বাংলাদেশ রেখে, যেখানে দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছিল ২৫,০০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। মানুষ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পেয়েছিল, কৃষি সেচ, ইন্ডাস্ট্রি, আইটি পার্ক—সবখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ছিল উন্নয়নের রক্তসঞ্চালন।

শেখ হাসিনা নিজে হাতে মোবাইল অ্যাপস চালু করেছিলেন বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার ট্রান্সপারেন্সির জন্য। কুইক রেন্টাল মডেল, রিনিউয়েবল এনার্জি ইনিশিয়েটিভ, এবং ভারত-ভুটান-নেপালের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ সহযোগিতা—এসব ছিল তার কৌশলের অংশ। সর্বোপরি, তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন “ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ”—তা তিনি বাস্তবেও পূরণ করেছিলেন।

কিন্তু আজ, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে, সেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। কারণ, এই অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা দখল করেছে প্রশাসনকে ব্যবহার করে, কিন্তু রাষ্ট্র চালানোর অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা বা দায়িত্ববোধ তাদের নেই। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে পারছে না, অথচ প্রতিদিন মিডিয়ায় নিজেদের “সংস্কারপন্থী সরকার” বলে দাবি করে যাচ্ছে। কিসের সংস্কার? যেখানে জনগণের সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা—বিদ্যুৎই তারা দিতে পারছে না?

বিদ্যুৎ ছাড়া দেশে উন্নয়ন চলে না, শিল্প চলে না, কৃষি চলে না। আজ যখন উৎপাদকরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে, “আমরা উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হব”, তখন এই সরকার চুপ করে আছে। না আছে কোন সমন্বয়, না আছে অর্থনৈতিক কৌশল। অথচ শেখ হাসিনা থাকাকালে এইসব সমস্যা আগেই সমাধান হতো—দ্রুত সিদ্ধান্ত, স্পষ্ট দিকনির্দেশনা আর রাজনৈতিক সদিচ্ছা দিয়েই।

আমরা বলছি—এই বিদ্যুৎ ঘাটতির মূলে আছে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা ও স্বেচ্ছাচারিতা। আর সেই তুলনায় শেখ হাসিনার শাসন ছিল বাংলাদেশে আলোর যুগ। আজ যারা সেই আলো নিভিয়ে দিয়েছে, তারা জানুক—এই অন্ধকার বেশিদিন থাকবে না। জনগণ আবারও সেই আলোই ফিরিয়ে আনবে, যা একসময় ছিল শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতীক।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *