বিএনপি-জামায়াতের কৃত্রিম দূরত্ব—ষড়যন্ত্রের নতুন চাল, জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার পুরোনো কৌশল
আজ ২৮ অক্টোবর ২০২৪। গণমাধ্যমে খবর—বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে নাকি দূরত্ব বেড়েছে। একজন দ্রুত নির্বাচন চায়, অন্যজন বিলম্বিত নির্বাচন চাইছে। দেখানো হচ্ছে, যেন এই দুই দল আলাদা পথে হাঁটছে। কিন্তু ইতিহাস যারা জানে, তারা বুঝে—এই দূরত্ব নাটক, এই দ্বিমত একটি সাজানো চিত্রনাট্য, যার আসল উদ্দেশ্য হলো জাতিকে ধোঁকা দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফেরার পথ বন্ধ করে দেওয়া।
জামায়াত কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিল না। ১৯৭১ সালে তারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঘরে ঘরে তালিকা দিয়ে দিয়েছিল—কে মুক্তিযোদ্ধা, কে বাংলার পক্ষে কথা বলে। তারা ছিল রক্তপিপাসু আলবদর, যারা শিশুদেরও রেহাই দেয়নি। আজ যারা বলছে ‘নির্বাচন বিলম্ব হোক’, তারা আসলে সেই পুরোনো কৌশলেরই নতুন সংস্করণ চালাচ্ছে—সময় নিতে চায়, যাতে নতুন করে নিজেদের সাংগঠনিক ভিত তৈরি করে আবার পাকিস্তানপন্থী শাসন কায়েম করতে পারে।
অন্যদিকে বিএনপি—যে দলটি বারবার নির্বাচন চেয়েছে, কিন্তু ক্ষমতায় যেতে চেয়েছে আগুন, সহিংসতা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। তারা জানে, শেখ হাসিনা থাকলে তারা কোনো দিন ভোটে জিততে পারবে না। তাই আজ তারা নির্বাচন চায়, কিন্তু কাকে বাদ দিয়ে? শেখ হাসিনাকে! অর্থাৎ তারাই তো সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে, যেখানে জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েই আজকের অন্তর্বর্তী সরকারকে তৈরি করেছে।
এই দুই দলের দূরত্ব যতই দেখানো হোক, বাস্তবে তারা একে অপরের ছায়া। তাদের লক্ষ্য একটাই—শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিয়ে আবার ২০০১-এর মতো প্রতিশোধের রাজনীতি ফিরিয়ে আনা। আজ বিএনপি “গণতন্ত্রের” বুলি কপচাচ্ছে, আর জামায়াত বলছে “বিলম্ব দরকার”—কিন্তু দুই দলের কেন্দ্রীয় রূপরেখা বদলায়নি। তারা আজও আওয়ামী লীগবিরোধী নীলনকশার অংশ, আজও তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
আর এই পুরো নাটকের পেছনে যিনি মঞ্চ তৈরির কাজ করছেন, তিনি হলেন ড. ইউনূস ও তার অন্তর্বর্তী সরকার। তারা জানে, শেখ হাসিনা ফেরার মানে তাদের পর্দা ফাঁস হয়ে যাওয়া। তাই বিএনপি-জামায়াতকে মেনে নিয়ে, এদের মাঝে দূরত্বের গল্প ছড়িয়ে দিয়ে, জাতিকে বিভ্রান্ত করে রাখতে চাইছে তারা।
আমরা বলছি—এই দ্বন্দ্ব, এই দূরত্ব সবই ভণ্ডামি। যারা ৭১-এ একত্রে রক্ত ঝরিয়েছে, তারা আজও একত্রে রাষ্ট্র দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র থেকে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এই রাষ্ট্রের সম্মান, স্থিতিশীলতা আর স্বাধীনতা রক্ষা সম্ভব। বিএনপি-জামায়াত একসূত্রে গাঁথা—তাদের মুখোশ আর টিকবে না।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।