শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫২টি মামলা—রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগকে মাইনাস করার প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি কালো দিন। আজ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, জাতির আশা-ভরসার প্রতীক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একযোগে দায়ের করা হয়েছে ১৫২টি মামলা। এর মধ্যে রয়েছে ১৩৫টি হত্যা মামলা, ৭টি মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার মামলা, ৩টি অপহরণ, ৬টি হত্যাচেষ্টা এবং একটি বিএনপির মিছিলে হামলার মামলা। শুনলে মনে হয় এ যেন কোনো যুদ্ধাপরাধীর চার্জশিট, অথচ যার বিরুদ্ধে মামলা, তিনি বাংলাদেশের নির্বাচিত তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, যিনি জাতিকে দারিদ্র্য থেকে উন্নয়নে, অবহেলা থেকে সম্মানে, অনুন্নততা থেকে আন্তর্জাতিক মর্যাদার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
এই মামলা যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পরিকল্পিত, তা বুঝতে ইতিহাসবিদ হওয়ার দরকার নেই। এই মামলা একটি চূড়ান্ত রাজনৈতিক চক্রান্ত, যার মূল লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে চিরতরে মাইনাস করা, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা, এবং সেই ফাঁকে জামাত-বিএনপির চিরলালিত ক্ষমতার পথ প্রশস্ত করা।
যে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে, সেগুলোর সময়কাল, চরিত্র, কাঠামো সবকিছুই হাস্যকর ও অগ্রহণযোগ্য। শেখ হাসিনার শাসনামলে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই উন্নয়নের বিরুদ্ধে যদি কেউ মামলা করে, তাহলে পদ্মা সেতু বানানো, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বিস্তার—সবই কি অপরাধ? তিনি যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, জঙ্গিবাদ দমন করেছেন—তাও কি এখন “গণহত্যা”?
এই মামলার সংখ্যা ও চরিত্রে একটি কৌশল আছে—সংখ্যা বাড়িয়ে মানসিক বিভ্রান্তি তৈরি করো, শিরোনামে শেখ হাসিনার নামের পাশে “হত্যা” “অপহরণ” “মানবতাবিরোধী” শব্দগুলো বসিয়ে দাও, যাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়। এটি হচ্ছে মিডিয়াকে ব্যবহার করে চরিত্র হননের নোংরা চক্রান্ত। অথচ জনগণ ভুলে যায়নি, কে তাদের ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন, কে দেশে শতাধিক সেতু বানিয়েছেন, কে রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্বমঞ্চে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
এই মামলাগুলো কোনো আইনি বিচারের জন্য নয়, এটি একটি রাজনৈতিক কৌশল—আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে মুছে দেওয়ার প্রয়াস। কারণ, তারা জানে, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে না দিলে নির্বাচনে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল, আছে, থাকবে—এটাই তাদের শঙ্কা। তাই তারা গণরায়ে হেরে গিয়ে এখন মামলার জাল বুনে, রায় দেওয়ার আগেই জনগণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে।
এই ষড়যন্ত্র জামাত-শিবির-বিএনপি একসাথে মিলে বাস্তবায়ন করছে। তারা জানে, জনগণ কখনো তাদের ভোট দেবে না। তাই তারা ভোটের মাঠে না নেমে আদালতের পেছনে লুকিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায়। এই অন্তর্বর্তী সরকার তাদের হাতিয়ার, এই আদালত তাদের প্লাটফর্ম, আর মিথ্যা মামলা তাদের গোলাবারুদ।
কিন্তু তারা ভুলে গেছে—শেখ হাসিনা কোনো ব্যক্তিমাত্র নন, তিনি একটি আদর্শের নাম, একটি আন্দোলনের নাম, একটি ইতিহাসের নাম। তাকে মামলা দিয়ে রুখে দেওয়া যাবে না, যেমন রোখা যায়নি ২০০৭-০৮ এ, যেমন রোখা যায়নি ’৮১ থেকে ৯৬ পর্যন্ত।
আমরা স্পষ্টভাবে বলছি—এই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এই অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আশার প্রতীক, এই জাতির গর্ব। তাকে মাইনাস করার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা একদিন ইতিহাসই মাইনাস করে দেবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।