বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি

আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ হচ্ছে। আজ সেই দিন, যেদিন একজন দণ্ডপ্রাপ্ত, আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত মানুষ—ড. মুহাম্মদ ইউনুস—দেশের “অন্তর্বর্তী সরকার”-এর প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এটা কেবল একটি অশোভন ঘটনা নয়—এটা একটি প্রমাণিত ষড়যন্ত্রের প্রতিফলন।

ড. ইউনুস, যিনি একসময় সামাজিক ব্যবসার নামে করপোরেট শোষণের মডেল দাঁড় করিয়েছিলেন, আজ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের মুখ্য চরিত্র। এই সেই ব্যক্তি যিনি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি না দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকে হাজার হাজার কর্মীর অধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি শ্রম আইন ভঙ্গের দায়ে দণ্ডিত হন। এরপর জুনে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের হয়। এসব থাকা সত্ত্বেও, একজন আসামিকে কীভাবে দেশের নেতৃত্বে বসানো হলো—এটা কি গণতন্ত্র?

না, এটা গণতন্ত্র নয়। এটা হলো একটি সুপরিকল্পিত, বিদেশি মদদপুষ্ট, জামাত-বিএনপি জোটের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি নাটক। ছাত্রদের ‘বৈষম্যবিরোধী’ আন্দোলনের মুখোশে, আসলে একটা গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হয়েছে—যেখানে পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা। জাতি আজ দেখেছে কিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে একদল শিক্ষার্থীকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।

আরো ভয়ংকর সত্য হলো—এই তথাকথিত “ছাত্রনেতারা” আজ ১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি অপসারণ, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধকরণ এবং একটি তথাকথিত নতুন প্রজাতন্ত্র ঘোষণার মতো রাষ্ট্রবিরোধী দাবি উত্থাপন করছে। এই দাবিগুলো কেউ খাপছাড়া, কেউ সংবিধানবিরোধী, কেউ সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণার বিরুদ্ধাচরণ। এর পিছনে যে ড. ইউনুসের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছিল—আজ তা জাতির সামনে নগ্ন।

এই সরকার গণমানুষের ভোটে নির্বাচিত নয়। এটা আদালত ও সংবিধান উপেক্ষা করে চাপিয়ে দেয়া একটি অবৈধ শাসন কাঠামো। তারা জনগণের কোনো ম্যান্ডেট বহন করে না, শুধু একদল বিকৃত ক্ষমতাপিপাসু ও দেশবিরোধী গোষ্ঠীর লক্ষ্য পূরণ করছে।

শেখ হাসিনা কখনোই পদত্যাগ করেননি, তিনি নিরাপদে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন রক্তপাত এড়াতে। কিন্তু তার এই মানবিকতা, তার এই দেশের প্রতি ভালোবাসা আজ যারা ষড়যন্ত্র করছে—তারা ভুল করে ভাবছে তিনি দুর্বল। ভুল করেছে যারা মনে করেছে এই দেশ শেখ হাসিনা ছাড়া চালানো যাবে।

ড. ইউনুস তার ক্যারিয়ারের প্রতিটি পর্যায়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। পদ্মা সেতুর সময় তিনি বিশ্বব্যাংকে দেশবিরোধী চিঠি পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন আটকে দিয়েছিলেন। আজ সেই একই ব্যক্তি আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রের নেতা।

এই অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক ও অশুভ সরকারকে অচিরেই প্রত্যাখ্যান করতে হবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ চাই—“আমরা অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকার মানি না। ইউনুসকে মানি না। ষড়যন্ত্র মানি না। শেখ হাসিনাই আমাদের নেতা।”

বাংলাদেশ কারো ব্যক্তিগত পরীক্ষার মাঠ নয়। এটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এদেশের নেতৃত্ব কেবল জনগণের ভোটেই নির্ধারিত হবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *