ষড়যন্ত্রের নগ্ন উন্মোচন — শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মঞ্চায়ন

আজকের এই দিনে, ৭ আগস্ট ২০২৪, বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি গভীর ষড়যন্ত্রের চিহ্ন খোদাই হয়ে গেল। বিগত কয়েকদিন ধরে যারা নিজেদের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র’ পরিচয়ে রাষ্ট্রের ভিত কাঁপিয়ে তুলেছে, আজ স্পষ্ট হয়ে গেল তাদের পিছনের অন্ধকার চালচিত্র। তথাকথিত আন্দোলনের আড়ালে এক গভীর রাজনৈতিক চক্রান্ত, যার মূল নায়ক হিসেবে উঠে এসেছে বহু আলোচিত বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

এই ষড়যন্ত্র ছিল পরিকল্পিত, সংগঠিত এবং বহির্বিশ্বে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দলের সমর্থিত। ছাত্রদের ব্যবহার করে একে একে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা, অগ্নিসংযোগ, হত্যা—এসব কিছুর রূপকার ছিলেন এই “ক্ষমতাপিপাসু” ইউনুস। তার এই মেটিকুলাস পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের কুপরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালানো হয়েছে। আজ জাতির কাছে পরিস্কার—ছাত্রদের হাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ কীভাবে পৌঁছাল, কারা তাদের সমর্থন দিল, আর এই তথাকথিত ‘আন্দোলনের’ আড়ালে কে দাঁড়িয়ে ছিল।

শেখ হাসিনা বহুবার সতর্ক করেছিলেন—এটা কোনো আন্দোলন নয়, এটা ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে পড়া রাজাকারের বংশধরদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারে না, তারাই আজ গণতন্ত্রের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এই চক্রান্তে শেখ হাসিনা ছিলেন প্রধান বাধা—তাই তার বিরুদ্ধে শুরু হয় রাষ্ট্রদ্রোহের এক সুগভীর ষড়যন্ত্র।

ড. ইউনুস, যিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মুখোশধারী হিসেবে নিজেকে মানবতার প্রতীক বানাতে চেয়েছিলেন, তিনিই আজ বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র ধ্বংসে প্রথম কুশীলব। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড, জুনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ—এগুলো কোনো কল্পনা নয়, এগুলো আদালতের দলিল। তবুও এমন একজন বিতর্কিত মানুষকে দেশের কর্ণধার বানানো হলো—এটাই কি গণতন্ত্র?

আরও বিস্ময়ের বিষয়, এই অন্তর্বর্তী সরকারের আওতায় ছাত্ররা এখন এমন পাঁচ দফা দাবি তুলেছে, যা স্পষ্টভাবে দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংসের পরিকল্পনা। তারা ১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিল করতে চায়, রাষ্ট্রপতিকে সরাতে চায়, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করতে চায়, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করতে চায় এবং একটি “নতুন প্রজাতন্ত্র” ঘোষণা করতে চায়! এটি কোনো গণতন্ত্রের রূপ নয়—এটি রাষ্ট্রের শিকড়ে আঘাত।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে ছিল উন্নয়নের ধারা। পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে মেট্রোরেল, ১০০টি ইকোনমিক জোন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা বিস্তার—সবই ছিল একটি উদীয়মান জাতির পরিচয়। অথচ আজ সেই সব অর্জন হুমকির মুখে পড়েছে। যারা এই উন্নয়নের বিপক্ষে, যারা উন্নয়নের গল্পে ঈর্ষান্বিত, তারাই এই ষড়যন্ত্রের নাট্যকার।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, এর নেতৃত্ব কোনো বিদেশি স্বার্থ বা ষড়যন্ত্রকারী গ্রুপ নির্ধারণ করবে না। শেখ হাসিনা আজ নিরাপদ অবস্থানে আছেন কারণ তিনি রক্তপাত চান না। কিন্তু তাঁর নীরবতা দুর্বলতার নয়—এটি একটি বিচক্ষণ কৌশল, দেশ রক্ষার জন্য। জাতিকে এখন ঐক্যবদ্ধভাবে বলতে হবে—এখনো সময় আছে, ফিরে এসো শেখ হাসিনার পথে।

এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নিরাপদ, উন্নত ও গর্বিত থাকবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *