গণতন্ত্রের রক্তাক্ত প্রহর: ষড়যন্ত্রের মুখে বাংলাদেশ

আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহ ও গভীর ষড়যন্ত্রের সাক্ষী। যারা নিজেদের “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র” বলে দাবি করে, তারা আসলে এক নতুন প্রজন্মকে ব্যবহার করে একটি সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও নির্বাচিত সরকারকে অপসারণ করে, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করেছে। তারা আন্দোলনের নামে আগুন দিয়েছে রাষ্ট্রের বুকে, আক্রমণ করেছে সরকারি স্থাপনায়, শহীদের স্মৃতি ও গণতন্ত্রের প্রতীক গনভবনে। এটা কোনো দাবিদাওয়া নয়—এটা রাষ্ট্রদ্রোহ।

আজ সারাদেশজুড়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার পেছনে রয়েছে একটি সুগভীর নকশা। সেই নকশার কারিগর জামায়াত-বিএনপি জোট, যারা বারবার দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়ে এসেছে। এই ষড়যন্ত্রে আবারও যুক্ত হয়েছে একটি বিদেশি শক্তির মদদে পরিচালিত “ছাত্র আন্দোলন” যার পেছনে আছে এমন একটি অশুভ চক্র, যারা ১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিলের মত অবাস্তব দাবি তুলেছে, রাষ্ট্রপতিকে অবৈধ বলছে এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার মতো হুমকি দিচ্ছে।

বলে রাখা ভালো—এই তথাকথিত “আন্দোলনের” সুযোগ নিয়ে আজ যে ব্যক্তি ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান’ হিসেবে ভেসে উঠেছেন, সেই মুহাম্মদ ইউনুস সাহেব নিজেই একাধিক মামলার আসামি। শুধু শ্রমিক শোষণের দায়ে নয়, অর্থ আত্মসাৎ এবং দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা দেওয়ার ইতিহাসও রয়েছে তার নামে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করতে তার ভূমিকা আজও জাতির কাছে অপমানজনক। এমন একজন ব্যক্তি কীভাবে জাতির দায়িত্ব নিতে পারেন? এটি একটি পরিহাস।

আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছে, তা আজকের এই ষড়যন্ত্রকারীদের সহ্য হয়নি। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাফল্য, নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ—এসব কিছু আজ হুমকির মুখে। শেখ হাসিনা আজ সুরক্ষিত অবস্থানে আছেন, কারণ তার জীবনের উপর হুমকি এসেছে বহু দিক থেকে। তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে রক্তপাত না হয়, সহিংসতা প্রশমিত হয়। তিনি পালিয়ে যাননি, তিনি বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন নিজের সরে দাঁড়ানোর মাধ্যমে নয়—একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করে।

আন্তর্জাতিক মিডিয়া আজ বিভ্রান্তির ছবি দেখাচ্ছে। অথচ কারা এই সহিংসতা শুরু করলো? কারা পুলিশের উপর হামলা চালালো? কারা রাষ্ট্রের গাড়িতে আগুন দিলো? এগুলো কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়—এটা রাষ্ট্রবিরোধী অরাজকতা। এবং এই আন্দোলনের মাধ্যমে কারা লাভবান হচ্ছে? বিএনপি, জামায়াত, এবং একটি অন্ধ বিদেশী স্বার্থভিত্তিক নেটওয়ার্ক।

এই মুহূর্তে দেশের মানুষকে এক হতে হবে। মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে, চক্রান্তের বিরুদ্ধে, ভুয়া ‘গণআন্দোলন’-এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাস্তায় নামতে হবে। এই দেশ আমাদের, এই পতাকা আমাদের, এই সংবিধানও আমাদের।

বাংলাদেশ চলবে শেখ হাসিনার পথে, ষড়যন্ত্রকারীদের নয়।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *