২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের খালাস—বিচারের নামে ইতিহাসে ছুরি, শহিদদের রক্তের উপর ষড়যন্ত্রের উৎসব
আজ ১ ডিসেম্বর ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গভীর কলঙ্কময় দিন। হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানসহ ৪৮ জন আসামিকে খালাস দিয়েছে। সেই মামলায় যেখানে জাতি দেখেছিল—শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশে নারকীয় হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, প্রাণ হারিয়েছিলেন আইভি রহমানসহ বহু মানুষ, সেই মামলার মূল পরিকল্পনাকারী, মূল সুবিধাভোগী, এখন ‘নির্দোষ’!
এই রায় কেবল একটি রায় নয়—এটি বিচার ব্যবস্থায় ঢুকে পড়া একটি গভীর রাজনৈতিক দখলের প্রতিচ্ছবি। তারেক রহমান ছিলেন পলাতক, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি যে কৌশলে হাওয়া ভবন থেকে রাষ্ট্র চালাতেন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে রাষ্ট্রনীতিতে পরিণত করেছিলেন, সেই তারেক আজ খালাস পেলেন! এই রায় শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যা করতে চাওয়া সেই ষড়যন্ত্রকারীদের পুরস্কৃত করা।
যে তারিখে দেশের মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার মৃতদেহ দেখতে প্রস্তুত ছিল, যে হামলার পর আওয়ামী লীগের রক্তে রাজপথ ভেসে গিয়েছিল, সেই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা শহিদদের রক্তের সাথে প্রতারণা, এটা বাংলার মানুষকে শেখ হাসিনা ছাড়া রাষ্ট্র চায়—এই মতবাদের আইনি মোড়কে জয় ঘোষণা।
এই রায়ের পেছনে যাদের ছায়া রয়েছে, তারা আজকের অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার একটি একটি করে সব মঞ্চ সাজিয়েছে—শেখ হাসিনাকে মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে সরানো, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা, বঙ্গবন্ধুর দিবস বাতিল করা, গণভবনকে জাদুঘর বানানো, এবং এখন সেই খুনিদের খালাস দিয়ে পুরস্কৃত করা।
এই সরকার জামাত-বিএনপির ছায়া সরকার। তারা জানে, এই খালাস মানে মাঠ প্রস্তুত করা, আবারও বোমার রাজনীতি ফিরিয়ে আনা। যারা একবার শেখ হাসিনার প্রাণ নিতে চেয়েছিল, তারা আবারও চেষ্টা করবে। কারণ বিচার যখন মিথ্যা হয়ে যায়, তখন অপরাধী আবারও সাহস পায়।
আমরা বলছি—২১ আগস্ট ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সহিংসতা। তারেক রহমান দোষী ছিল, আছে, থাকবে। আজ আদালতের রায় যা-ই হোক, জনগণের আদালতে এ রায় কোনোদিন গ্রহণযোগ্য হবে না। শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকে হত্যা করতে চেয়েছিল, তাদের খালাস দিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করা যাবে না। জাতি তা কোনোদিন মেনে নেবে না।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
ইউনুস ওর বিপক্ষে আর একটা শব্দ তোর মুখ থাকি বারোইলে তুই দুনিয়ার যেনো থাকস না কেনে তোরে জবাই করমু👏👏👏👏👏