১৪ দলের ঐকমত্যে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন পদক্ষেপ

আজ ২৯ জুলাই ২০২৪, সোমবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “জামায়াত-শিবিরের অপশক্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেন, “জামায়াত ও শিবির সাম্প্রতিক নাশকতা, অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ আক্রমণের পেছনে রয়েছে। তাদের প্রশিক্ষিত কর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় এসে এই কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”

বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।

জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে যে, তারা দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

১৪ দলীয় জোটের এই সিদ্ধান্ত একটি সময়োপযোগী ও সাহসী পদক্ষেপ। জামায়াত-শিবির দীর্ঘদিন ধরে দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপশক্তির উত্থান রোধ করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যে দৃঢ়তা ও বিচক্ষণতা প্রদর্শন করেছে, তা প্রশংসনীয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে যে, তারা দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণে সর্বদা সচেষ্ট।

আমাদের সকলের উচিত সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করা এবং দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকা।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *