হল ছেড়ে পালিয়ে বাঁচলেন ছাত্রলীগ নেতারা—‘সাধারণ ছাত্র’ নয়, পরিকল্পিত হামলার মুখে মুখ ঢেকে মারলো জামায়াত-শিবিরের ছায়া সেনা
আজ ঢাবির রোকেয়া হল, বিজয় একাত্তর, এ এফ রহমান ও সূর্যসেন হলের দৃশ্য ছিল বিভীষিকাময়। ছাত্রলীগের নেত্রী আতিকা বিনতে হোসাইনসহ অন্তত ৯ জন নেতাকর্মীকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনা হয়। মাথায় হাত দিয়ে, কাঁদতে কাঁদতে হল ছেড়ে বের হতে বাধ্য হন তাঁরা।
তাদের ঘরে আগুন ধরানোর চেষ্টা হয়, ভাঙচুর হয় আলমারি, বিছানা, বইপত্র।
এটি কি কোটার বিরুদ্ধে ‘সাধারণ ছাত্রদের’ প্রতিবাদ?
না। এটি একটি সাজানো হামলা—পেছন থেকে নির্দেশ দিয়েছে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি ঘরানার প্রোফেশনাল সংগঠনগুলো।
‘সাধারণ ছাত্র’ হয়ে কাঁধে ব্যাগ, মুখে মাস্ক পরে যারা রাতভর হল ঘুরে ঘুরে ছাত্রলীগ নেতাদের খুঁজেছে—তারা আসলে নতুন দিনের ‘গোপন রাজাকার বাহিনী’।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে এক আবেগঘন ভাষণে বলেন:
“আপনারা আমাদের সন্তান। কষ্ট পেয়েছেন জানি। কিন্তু পরিস্থিতি বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের আগে কেউ হতাশ হবেন না। যারা মারা গেছেন, তাদের জন্য তদন্ত চলবে।”
তিনি আরও বলেন—“আমি চাই, এই দেশে আর কেউ রাজপথে রক্ত না ঝরাক। যারা আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে, তাদের থেকে সাবধান থাকুন।”
একজন মমতাময়ী রাষ্ট্রনায়কের মতো তিনি কাঁধে হাত রেখে বলেছেন—“তোমরা ধৈর্য ধরো, আমরা আছি।”
রাতেই রাজধানীর জাত্রাবাড়ী কাজলা ও শনিরআখড়ায় আন্দোলনের নামে গড়ে ওঠে আরেক দফা সহিংসতা। পুলিশের চেকপোস্টে, টোল প্লাজায় আগুন—সবই ছিল দ্রুত ও সমন্বিত।
কারা এত দ্রুত পেট্রোল নিয়ে মাঠে নামতে পারে?
কে দিয়েছে এত পরিকল্পিত আক্রমণের সময়সূচি?
উত্তর একটাই—এটি রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর ওপর পরিকল্পিত আঘাত, যাতে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ভেঙে পড়ে এবং বিদেশি মিডিয়ার সামনে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরা যায়।
আজ যারা ছাত্রলীগ নেতাদের অপমান করছে, তারা আসলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আঘাত করছে।
ছাত্রলীগ মানেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আজ এই সংগঠনকে নিঃস্ব করে দিতেই এই চক্রান্ত।
এটাই সময়—বাংলার সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক সবাইকে এক হয়ে দাঁড়াতে হবে।
“যারা বলছে, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’—তারা ভুল বলছে না। কারণ এই ষড়যন্ত্রের মূল চালকেরাই একদিন দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। আজ তারা একই চেষ্টা করছে নতুন নামে, নতুন ছদ্মবেশে।”
এখনই সময়—জেগে উঠুন। ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন। শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ান। বাংলাদেশকে রক্ষা করুন।