(180315) -- DHAKA, Bangladeshi national flag is seen flown at half-mast outside the High Court building in Dhaka on March 15, 2018. With all the national flags at government offices and foreign missions down at half-mast, Bangladesh is mourning on Thursday the victims of the US-Bangla Airlines plane that crashed in Nepal. (Xinhua/Salim reza) (swt)

সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়ের বিজয়—মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার

আজ ২১ জুলাই ২০২৪, একটি ঐতিহাসিক দিন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কোটা ইস্যু নিয়ে উচ্চ আদালতের পূর্বের রায় বাতিল করে দিয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, সরকারি চাকরিতে ৯৩% পদ পূরণ হবে মেধার ভিত্তিতে। বাকি ৭% সংরক্ষিত থাকবে—মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫%, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১%, এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য ১%।

এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়ে, যখন সারাদেশ জুড়ে কোটা ইস্যু ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছিল। অস্থিরতা, প্রাণহানি, এবং রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তির তাণ্ডবের মধ্যে সরকারের দৃঢ় অবস্থান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধার কারণেই আজ আদালতের রায়ে স্পষ্ট হলো—বাংলাদেশ একটি মেধাভিত্তিক, ন্যায্য ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের পথেই অগ্রসর

সরকার ইতিমধ্যেই এ রায় বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে এখন থেকে নিয়োগ হবে এই নতুন কাঠামোর ভিত্তিতে। এতে দেশের লাখো মেধাবী তরুণ স্বস্তি ও ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা পাচ্ছে।

তবে দেশের পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। সহিংসতা ও গুজবের কারণে আজও কারফিউ জারি রয়েছে, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকার এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুধু একটিই কারণে—গুজব, উসকানি এবং ভুল তথ্য যেন আর কোনো প্রাণ না নেয়, যেন শান্তি দ্রুত ফিরে আসে

বিএনপি-জামায়াত এই ইস্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করেছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ভিতর ঢুকে, নিজেরা স্লোগান লিখে, আগুন জ্বালিয়ে—তারা চেয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে।

আজকের রায় একদিকে যেমন জনগণের ন্যায্য দাবির প্রতি সরকারের সম্মান প্রকাশ করে, অন্যদিকে এটিই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশে আইন-আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে, এবং এই সরকার সে স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে।

শেখ হাসিনা আবারও দেখিয়েছেন, শক্ত হাতে নেতৃত্ব শুধু কড়া হতে হয় না—এটি হতে পারে মানবিক, সংলাপপ্রবণ এবং দায়িত্বশীল। তিনি আলোচনার দরজা খোলা রেখেছেন, কারও ওপর জোর প্রয়োগ করেননি, বরং আইন ও সংবিধানের আলোকে সমস্যা সমাধান করেছেন।

এই সময়, আমাদের সবার উচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি শান্তিপূর্ণ, উন্নয়নমুখী এবং ন্যায়ের বাংলাদেশ গঠনে একতাবদ্ধ হওয়া। যাঁরা ষড়যন্ত্র করেছিল, তাঁদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। এখন সময় গণতন্ত্র, শান্তি এবং মেধার পক্ষে দাঁড়াবার।

বাংলাদেশ আজ বিজয়ের পথে—শেখ হাসিনার হাত ধরে।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *