সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও আন্দোলনের আল্টিমেটাম: কোটা সংস্কার না, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত

আজ ২২ জুলাই, সোমবার, কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ৪৮ ঘণ্টার জন্য ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন এবং সরকারের কাছে চার দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আল্টিমেটাম দেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে দেন যে, সুপ্রিম কোর্টের রায় তাদের সন্তুষ্ট করেনি।

সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ ছুটি ও কারফিউ মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে। গত চার দিনের সহিংসতায় অন্তত ১৩১ জন নিহত এবং ৫০০ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ৯৩% পদ মেধার ভিত্তিতে এবং বাকি ৭% কোটা হিসেবে বরাদ্দ থাকবে—মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৫%, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১%, এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের জন্য ১%।

তবে, এই রায়ের পরেও আন্দোলনকারীদের আল্টিমেটাম দেওয়া প্রমাণ করে যে, আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কোটা সংস্কার নয়। নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ নেতারা জামায়াত-বিএনপির স্ক্রিপ্ট অনুসরণ করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। তাদের লক্ষ্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করা।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও যখন আন্দোলনকারীরা আল্টিমেটাম দেয়, তখন স্পষ্ট হয় যে, এটি কেবল কোটা সংস্কারের আন্দোলন নয়। আন্দোলনের নামে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে, যার পেছনে জামায়াত-বিএনপির মদদ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে। তিনি দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তবে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এই অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায়।

আমাদের উচিত সরকারের পাশে দাঁড়ানো এবং এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রাখি।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *