সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ—নতুন আইন না, পুরনো মুখোশে মতপ্রকাশ দমন এবং ক্ষমতার আরও এক রূপ
আজ ২৬ নভেম্বর ২০২৪। অন্তর্বর্তী সরকার একটি নতুন সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে। বলা হচ্ছে, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং সাইবার স্পেসে নারী ও শিশু নির্যাতনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কথাগুলো শুনে যতটা আধুনিক, যতটা মানবিক মনে হয়, বাস্তবে এটি আরেকটি গভীর রাজনৈতিক অস্ত্র, যার মাধ্যমে ভিন্নমতকে দমন করা, সত্যিকারের সাংবাদিকতা থামানো এবং শেখ হাসিনার পক্ষে কেউ কিছু বললে তাকে অপরাধী বানানোর বৈধ পথ তৈরি করা হয়েছে।
এই অধ্যাদেশ কোনো নিরপেক্ষ সরকার করলে হয়তো জাতি কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলত। কিন্তু যারা নিজেরাই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, যারা ছাত্রদের হাতে ছুরি ধরিয়ে রাস্তায় নামিয়েছে, যারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়েছে, তাদের হাতে এই আইন মানে হচ্ছে—ইন্টারনেট ও মতপ্রকাশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কুক্ষিগত করা।
এই সরকার শুধু মুখে “গণতন্ত্র” আর “অধিকার” বলে, আর বাস্তবে করে পুরো উল্টোটা। আজ যারা সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কিছু না লিখে বরং তার উন্নয়নের সত্য তুলে ধরছে, তাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে এই সাইবার আইন দিয়ে। অথচ জামায়াত-শিবিরপন্থী ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ, টেলিগ্রাম গ্রুপ যেখানে খোলা ভাষায় রাষ্ট্র ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বিষ ছড়াচ্ছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে একটিও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
আসলে এই অধ্যাদেশের পেছনে রয়েছে জামায়াত-বিএনপির প্রচ্ছন্ন পরিকল্পনা। জামায়াত সব সময়ই চায় নারীর কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে, শিশুদের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে দূরে রাখতে। এই আইন এখন তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে ধর্মের নামে ভয় দেখিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আধিপত্য বিস্তারের। আর বিএনপি? তারা তো দীর্ঘদিন ধরেই মিডিয়ায় হারে হারে পিছিয়ে—এখন এই আইন দিয়ে চায় সরকারের সুনামধন্য কণ্ঠগুলোকে চুপ করাতে, যেন মাঠটা আবার তাদের পুরনো ষড়যন্ত্রের জন্য প্রস্তুত হয়।
তথাকথিত “অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ” আর “সাইবার অপরাধ দমন” কাগজে যতই ভালো শোনাক না কেন, এর আসল রূপ দেখা যাবে শিগগিরই—যখন ফেসবুকে শেখ হাসিনার পক্ষে একটি পোস্ট দেওয়াতেই কাউকে গ্রেফতার করা হবে, ইউটিউবে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন নিয়ে ভিডিও বানালে চ্যানেল ব্লক করে দেওয়া হবে, বা কারও ব্যাংক হিসাব তলব করা হবে, কারণ সে ‘ডিজিটাল অপরাধী’।
আমরা বলছি—আইন প্রণয়নের আগে চাই আইনের হাতে থাকা সৎ নেতৃত্ব। যে সরকারই জনগণের ভোটে নির্বাচিত না, যে সরকার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে চলে, সে সরকারের হাতে আইন মানেই নিপীড়নের বৈধতা। এই অধ্যাদেশ সংবিধান রক্ষার জন্য নয়—এটি শেখ হাসিনার কণ্ঠ চেপে ধরার নতুন প্রক্রিয়া। আর এই ষড়যন্ত্রকে জনগণ মেনে নেবে না।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
হনু বইয়া আদুম ছুদুম মাতিরায়।তুই দেশো আয়,তোরে লেমটা করিয়া মারমু।বোকাচোদা,তোরে দিয়া শান্ডার তেল বানাইমু।হতে জরা
তুই আস্তা একটা নাস্তিক তোর যাগা ই দেশর ভিতের অইতো নায় তোরে জ্বালাইয়া মারা দরকার।