সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি অপসারণ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধকরণের দাবি—ছাত্রদের ব্যানারে জামাত-বিএনপির চূড়ান্ত ষড়যন্ত্র প্রকাশ
আজ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪। “Students Against Discrimination” নামের এক তথাকথিত ছাত্র সংগঠন আজ এমন এক পাঁচ দফা দাবি জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে, যা সরাসরি রাষ্ট্রবিরোধী, ইতিহাসবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার ঘোষণা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা চায়—১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের অপসারণ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ, গত তিনটি সংসদ নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, এবং একটি নতুন প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা।
এই দাবিগুলো এমন সময় আসছে যখন দেশের নির্বাচিত সরকার সরিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন বোঝা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ব্যানারে যারা দাঁড়িয়েছে তারা আদতে সেই পুরনো জামাত-বিএনপি চক্রের মুখপাত্র, যারা ক্ষমতা না পেয়ে দেশের মেরুদণ্ড ভাঙার খেলায় নেমেছে।
প্রথম দাবি—সংবিধান বাতিল। প্রশ্ন হলো, কোন সাংবিধানিক ক্ষমতা, কোন সংসদীয় প্রক্রিয়া বা নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া সংবিধান বাতিল করার ক্ষমতা কার আছে? একদল আন্দোলনকারী কিংবা ক্ষমতালোভী অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে কি জাতির সর্বোচ্চ আইন বাতিল হয়ে যাবে? এই দাবির মাধ্যমে এরা আসলে প্রমাণ করছে যে, তারা গণতন্ত্র মানে না, সংবিধান মানে না, জনগণের ভোট মানে না।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি তো আরও স্পষ্ট করে দেয়, এই গোষ্ঠী শুধু একটি দলের নয়, পুরো রাষ্ট্র কাঠামোর শত্রুতে পরিণত হয়েছে। একজন সংবিধানসম্মত রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবি কেবল তাদের পক্ষেই সম্ভব, যারা গণতন্ত্রের মূল শিকড় উপড়ে ফেলতে চায়।
আর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি? ছাত্রলীগ কি ওদের ব্যক্তিগত মালিকানার প্রতিষ্ঠান যে ইচ্ছামতো নিষিদ্ধ করা যাবে? ছাত্রলীগই ছিল সেই সংগঠন, যার হাত ধরেই বাংলাদেশের প্রায় সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০—সবকিছুতে ছাত্রলীগের রক্ত আছে। আর আজ সেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সাহস দেখাচ্ছে সেইসব মুখ, যারা ছাত্রলীগের ছায়ায় সুযোগ নিয়ে আজ খুনি জামাতপন্থীদের দোসরে পরিণত হয়েছে। যারা একসময় ছাত্রলীগের মিছিলের পেছনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিত, আজ তারাই নোংরা রাজনীতির পাতা খোলার চেষ্টা করছে।
তাদের দাবি অনুযায়ী গত তিনটি নির্বাচনও নাকি অবৈধ। কোটি কোটি মানুষ ভোট দিয়ে, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত থেকে যে নির্বাচন বৈধ বলেছে—তাকে আজ এই চক্রান্তকারী ছাত্র সংগঠন অবৈধ বলে উড়িয়ে দিতে চায়! কারণ, এই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, রাজাকারের বংশধরদের ফেরত পাঠিয়েছে।
সবচেয়ে ভয়ংকর ও লজ্জাজনক দাবি হলো—নতুন প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা। কোন দেশের কোন ইতিহাসে একদল ছাত্র রাস্তা থেকে দাঁড়িয়ে “প্রজাতন্ত্র বদলে দাও” বললেই তা বাস্তব হয়েছে? তারা কি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বদলে শরীয়তভিত্তিক রাষ্ট্র চায়? তারা কি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বদলে ১৯৭১-এ পরাজিত শক্তির পাকিস্তানি আদল ফিরিয়ে আনতে চায়?
এই দাবিগুলো যে শুধুই কিছু ছাত্রের আত্মজ্ঞান নয়, বরং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশ্রয়প্রাপ্ত পরিকল্পনার অংশ, তা আর বোঝার বাকি নেই। ড. ইউনূস ও তার সহযোগীরা মাঠে নামিয়েছে ছাত্রদের, কিন্তু রিমোট কন্ট্রোল চালাচ্ছে সেই চক্র—যাদের শিকড় জামাত-বিএনপির গোপন পরিকল্পনায় প্রোথিত।
আমরা বলছি—এই দাবিগুলো রাষ্ট্রদ্রোহিতার নামান্তর। সংবিধান, রাষ্ট্রপতি, ছাত্রলীগ ও নির্বাচন—সবকিছুর বিরুদ্ধে একসাথে দাঁড়িয়ে যারা নতুন প্রজাতন্ত্র চায়, তারা জনগণের নয়, ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিনিধি। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই জাতি রক্ষা পাবে। ইতিহাস আবারও বিজয়ী হবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
Tor sorirer mangsho are har alada alda kore kukurke khawabo, deshe ashle bujbe
Tore faile, kufaiya marmu. Tor rokto diya gusol kormu. Shahosh takle ais bangladesh o
Bides paliya geso keno. Desh a aso dekba ki kore amra. Tumar sorkar jmon palaise, temon kore tumi palaiso. Deshe aso খেলা হবে।
Lig tor kora hikaimu vala kori tor hasinar moto bagiya gecot tui r jibon a kita aite nani desh o tore AK4 di moja bujaimu
নিজরে কি মন করছিলি, আর আজকে পালিয়ে গেলে ।পালিয়ে গিয়ে লাভ হবে না ।তরে একবার পাই ,শরীরে রক্ত যত সময় আছে তর শান্তি নাই ।তরে ৪৮ টুকরো করে পদ্মা ভাসিয়ে দিবো।একবার তুই দেশের মাটি পা রাখ ,ওই দিন তরে শেষ করে দিবো।