শেখ হাসিনার আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান, আন্দোলনের পেছনে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত
আজ ৩ আগস্ট ২০২৪, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানান, তাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে। তবে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “এই সরকার হত্যাকারী, তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই” ।
একই দিনে, ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো মানুষ সমবেত হয়ে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানায়।
যদিও ঢাকায় পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত ছিল, দেশের অন্তত ১১টি জেলায় সহিংসতা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যার ফলে একজন নিহত হন ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী চাইলে আমি পদত্যাগ করব” । তিনি আরও বলেন, “আন্দোলন এখন আর অরাজনৈতিক নেই; এটি রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনার আহ্বান একটি গঠনমূলক পদক্ষেপ ছিল। তবে আন্দোলনকারীদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা প্রমাণ করে যে, আন্দোলনটি এখন আর কেবল কোটা সংস্কারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আন্দোলনের পেছনে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত স্পষ্ট। তারা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে সরকারকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য কোটা সংস্কার নয়, বরং সরকারের পতন ঘটানো।
সরকারের উচিত শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এবং জনগণকে সচেতন করা যে, এই আন্দোলনের পেছনে কারা রয়েছে। শিক্ষার্থীদেরও উচিত বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং কোনো রাজনৈতিক ফাঁদে পা না দেওয়া।
আমরা আশা করি, সরকার ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করে এই সংকট কাটিয়ে উঠবে এবং দেশ আবারও শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে ফিরে আসবে।