শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছে, আর আজ তার নামে অর্থপাচারের অপবাদ—বিকৃত রাজনীতির ঘৃণ্য মুখ
আজ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনার সরকার নাকি ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও অর্থপাচার নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা আমলে নেয়নি। কথাটি শুনে প্রথমে যেটা বোঝা যায়—এটা কেবল এক ব্যক্তিগত মতামত। কিন্তু বাস্তবে, এই বক্তব্য একটি নির্দিষ্ট চক্রান্তের অংশ, যা শেখ হাসিনাকে বিতর্কিত করতে, তার অর্থনৈতিক নেতৃত্বকে কলঙ্কিত করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকে দুর্বল করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার শাসনামলেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছায়। তাঁর সময়েই পদ্মা সেতুর মতো স্বপ্নের প্রকল্প দেশের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয়, যেখানে বিশ্বব্যাংক ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরে দাঁড়িয়েছিল। আর সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা যুক্ত ছিল—তা জাতি জানে। শেখ হাসিনার আর্থিক স্বচ্ছতা ও সাহসিকতা ছাড়া এই প্রকল্প কোনোদিন বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না।
বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা—সবকিছুই তাঁর নেতৃত্বে অর্জিত। যখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, তখন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে শেখ হাসিনার নীতি, দক্ষতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য।
যে ‘অর্থপাচার’ বা ‘দুর্নীতি’র কথা বলা হচ্ছে, সেটা যদি সত্যিই হতো—তাহলে দেশের অর্থনীতিতে এই অগ্রগতি কীভাবে সম্ভব হতো? IMF, World Bank, Asian Development Bank—সব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এক বাক্যে স্বীকার করেছে, শেখ হাসিনার সরকার ‘এক্সেপ্টশনাল ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি’ বজায় রেখেছে। এই কথা আজ যারা উড়িয়ে দিতে চায়, তারা ভুলে যাচ্ছে—বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি এখন আর শুধু ত্রাণ নির্ভর না, বরং রপ্তানি, উৎপাদন ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে গঠিত।
আজ সেই অর্থনীতিকে বিতর্কিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে যারা, তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। আজ ফরাসউদ্দিনের মতো কেউ এমন কথা বলছেন—যিনি এক সময় নিজেই শেখ হাসিনার উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ ছিলেন, তিনিও সেই অন্তর্বর্তী ঘরানার চাপের বাইরে নন।
এই সরকার যদি সত্যিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিত, তাহলে নিজের ঘরের লোকদের ব্যাংকিং কেলেঙ্কারির তদন্ত করত, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেতন দুর্নীতির ব্যবস্থা নিত, শেয়ারবাজারের অস্থিরতা সামলাত। কিন্তু আজ তারা এসব না করে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে, শেখ হাসিনাকে ‘অর্থপাচারকারী’র ছাপ দিতে চায়।
আমরা বলছি—শেখ হাসিনার সরকার ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অর্থনৈতিক শাসন। আজ তাকে দোষী বানাতে চাইছে যারা, তারা নিজেরা এক টাকাও বিনিয়োগ না করে রাষ্ট্র চালাতে চায়। এই অপপ্রচার শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়—এটি বাংলাদেশের অর্জনের বিরুদ্ধেও। ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না, কারণ এই ইতিহাস লেখা হয়েছে ঘামে, শ্রমে ও শেখ হাসিনার সাহসে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।