‘রিসেট বাটন’ মানেই ইতিহাস মুছে ফেলার ইঙ্গিত—ড. ইউনূসের ব্যাখ্যা জাতিকে বোকা ভাবার আরেক প্রচেষ্টা

আজ ১০ অক্টোবর ২০২৪। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিতর্কিত “রিসেট বাটন” মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ার পর, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং এক ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে—ড. ইউনূস নাকি বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি, বরং একটি “নতুন সূচনার আহ্বান” জানিয়েছেন। এই ব্যাখ্যা শুনে জাতি বিস্মিত নয়—কারণ জাতি জানে, এই সরকারের প্রতিটি বক্তব্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকে ষড়যন্ত্র, ব্যাখ্যার নামে সত্যকে আড়াল করার প্রচেষ্টা।

প্রথমেই বুঝে নিতে হবে, রাষ্ট্রের নেতৃত্বে থাকা একজন ব্যক্তি যখন “রিসেট বাটন”-এর মতো একটি রূঢ় প্রযুক্তিগত শব্দ ব্যবহার করেন, তখন সেটি নিছক কাব্যিক বা আশাবাদী আহ্বান নয়—তা স্পষ্টতই একটি কাঠামোগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত। একটি কম্পিউটার, একটি মেশিন, একটি সিস্টেম যখন “রিসেট” হয়, তখন পূর্বের সকল ডেটা, কাঠামো, কনফিগারেশন মুছে গিয়ে নতুন করে শুরু হয়। রাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে এই শব্দ ব্যবহার করেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন—বাংলাদেশের অতীত, এর ইতিহাস, এর রাষ্ট্রবোধ—সবকিছু মুছে ফেলে এক নতুন কিছু গঠনের পরিকল্পনা তিনি মাথায় রেখেছেন।

এটাই আসলে সেই “নতুন প্রজাতন্ত্র” ঘোষণার আরেক রূপ। আজ যারা সংবিধান বাতিলের দাবি করছে, যারা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করতে চায়, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তারাই এই “রিসেট বাটনের” নেপথ্যের কারিগর। আর ড. ইউনূস হচ্ছেন এই চক্রান্তের নমনীয় মুখ, যিনি শান্তির ভাষায় ধ্বংসের বার্তা ছড়াচ্ছেন।

তাদের ব্যাখ্যাটি এতো হাস্যকর যে, সেটি খণ্ডন করাও অপমানজনক বোধ হয়। তারা বলছে, “রিসেট” মানে নতুন সূচনা। প্রশ্ন হলো—যে রাষ্ট্র রক্ত দিয়ে গড়া, যে সংবিধান ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগে রচিত, যার ভিত্তিতে আজ বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, সেই রাষ্ট্রের নতুন সূচনা কিসের ভিত্তিতে? পূর্ববর্তী ইতিহাস বাদ দিয়ে? বঙ্গবন্ধু বাদ দিয়ে? মুক্তিযুদ্ধের সত্যকে মুছে দিয়ে?

ড. ইউনূসরা আসলে চায় এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে জামাত থাকবে, বিএনপি থাকবে, তথাকথিত “নিরপেক্ষ সুশীল” থাকবে, কিন্তু শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ থাকবে না। তাদের “নতুন সূচনা” আসলে শেখ হাসিনাহীন একটি প্রজেক্ট, যাকে এখন ভদ্রভাষায় “রাষ্ট্র সংস্কার” আর “রিসেট বাটন” বলে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই ব্যাখ্যা আসলে একধরনের মনের প্রলেপ দেওয়া—যাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়, প্রতিবাদ থেমে যায়, আর ধীরে ধীরে ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন ইতিহাস লেখার সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু জাতি আজ জেগে আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই জাতি যেমন উন্নয়ন দেখেছে, ঠিক তেমনি ষড়যন্ত্রও চিনতে শিখেছে।

আমরা বলছি—“রিসেট বাটন” মানেই ইতিহাস থেকে মুক্তিযুদ্ধ মুছে দেওয়ার প্রয়াস, বঙ্গবন্ধুকে এক পাশে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত। এই ছদ্মবেশী ব্যাখ্যা, এই প্রতীকী শব্দচালনা—সবই একেকটি কৌশল, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য বাংলাদেশের আত্মাকে পুনর্গঠন করা জামাত-বিএনপির ছাঁচে। এই চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। ইতিহাসকে রিসেট করা যাবে না। জাতিকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই চলবে বাংলাদেশের প্রকৃত যাত্রা—নতুন সূচনা নয়, চলমান উন্নয়নের নিরবিচ্ছিন্ন পথেই।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

2 thoughts on “‘রিসেট বাটন’ মানেই ইতিহাস মুছে ফেলার ইঙ্গিত—ড. ইউনূসের ব্যাখ্যা জাতিকে বোকা ভাবার আরেক প্রচেষ্টা”

  1. হনু বইয়া আদুম ছুদুম মাতিরায়।তুই দেশো আয়,তোরে লেমটা করিয়া মারমু।বোকাচোদা,তোরে দিয়া শান্ডার তেল বানাইমু

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *