যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গ—আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা কখনোই নিরাপদ নয়
আজ ২ ডিসেম্বর ২০২৪। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এটি কেবল আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক আলোচনা নয়, এটি এক গভীর বাস্তবতার বহিঃপ্রকাশ—আওয়ামী লীগ ছাড়া এই দেশে সংখ্যালঘুদের কেউ দেখে না, কেউ রক্ষা করে না, আর কেউ পাশে দাঁড়ায় না।
এই আলোচনা আজ হয়েছে, কিন্তু সংখ্যালঘু নির্যাতনের ইতিহাস বহু পুরোনো। ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামাত জোট সরকারে এসে হাজার হাজার সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর চড়াও হয়েছিল। তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল, ধর্ষণ ও লুটতরাজ হয়েছিল খোলামাঠে। শুধু হিন্দু নয়—বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আদিবাসী —সব সম্প্রদায় সেই সময় হয়েছিল ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার।
এরপর একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই বারবার সংখ্যালঘুদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা, চাকরি, নিরাপত্তা, ধর্মীয় অধিকার—সবক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে থেকেছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা সরকার মন্দির নির্মাণে বরাদ্দ দিয়েছে, দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েছে, সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে। কিন্তু আজ যখন তিনি নেই, বা সরকারে নেই—তখন আবার সেই পুরনো অন্ধকার ফিরে এসেছে।
এই অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, বরং মৌন সম্মতি দিয়েই যেন জামাত-শিবিরপন্থী গোষ্ঠীগুলোর হাতে খেলার ছাড়পত্র দিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা হয়েছে, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ হয়েছে, অথচ সরকার ব্যবস্থা নেয়নি। কারণ, তারা জানে—এই অস্থিরতা তাদের দরকার, এই আতঙ্ক তাদের পক্ষে কাজ করে।
জামায়াত ও শিবির যে কেবল রাজনৈতিকভাবে নয়, ধর্মীয়ভাবে এই দেশকে পাকিস্তানি মৌলবাদে ফিরিয়ে নিতে চায়, তা তাদের ইতিহাসেই প্রমাণিত। তারা ইসলামের নামে সন্ত্রাস চালায়, সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব মুছে দিতে চায়। আর এই সরকারের নীরবতা দেখিয়ে দিচ্ছে—তাদের পেছনে আজ কারা শক্তি জোগাচ্ছে।
আমরা বলছি—আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা কখনো নিরাপদ ছিল না, এখন নেই, ভবিষ্যতেও নয়। শেখ হাসিনার সরকারই একমাত্র শক্তি ছিল যারা সংখ্যালঘুদের ভরসা দিয়েছিল, অস্তিত্ব দিয়েছিল। আজ সেই নেতৃত্ব সরিয়ে দেওয়ায় দেশ আবার সন্ত্রাস আর মৌলবাদীদের হাতে পড়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল যা বলছে, তা আমাদের অনেক আগেই জানা। কিন্তু এখন সময় এসেছে জাতীয়ভাবে বলার—অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ, বিএনপি-জামায়াতের ছায়া রাজনীতিই আজ আবার দেশকে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
ইব্লিশ
বাছা একবার দেশে আসো এয়ারপোর্ট থেকে তুমি না তোমার লাশ বাড়িতে যাবে😡😡