বিএনপির মুখে “জাতীয় ঐক্য সরকার”—যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, তাদের কাছ থেকে ঐক্যের আশ্বাস জাতির সাথে প্রতারণা

আজ ১৮ জানুয়ারি ২০২৫। বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে, তারা নাকি ক্ষমতায় এলে “জাতীয় ঐক্য সরকার” গঠন করবে। সেখানে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দল ও অতীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এ যেন খুনিদের জোটকে ‘ঐক্য’ বলার ধৃষ্টতা, এ যেন ইতিহাসের মুখে চপেটাঘাত।

এই সেই বিএনপি—যারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও আইভী রহমানসহ অনেকেই শহীদ হয়েছিলেন। সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল হাওয়া ভবন, আর এই ঘোষণার আড়ালে আজকের “জাতীয় ঐক্য”-র নাটকীয় চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছে সেই পুরনো হাতেই।

জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের কথা বলছে বিএনপি, অথচ তাদের অতীত শুধুই বিভাজন, ষড়যন্ত্র আর রক্তের রাজনীতি দিয়ে ভরা। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে তারা দেশব্যাপী সন্ত্রাস, শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের কারখানা, বিচার বিভাগে দলীয়করণ, সাংবাদিক দমনের কালো অধ্যায় রচনা করেছিল। তাদের শাসনামলে দেশের প্রতিটি জেলা ছিল চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ আর রক্তের বন্যায় ভাসমান। সেই বিএনপি এখন নাকি ঐক্য আনবে!

আর শেখ হাসিনা? তিনি একা হাতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখে দিয়েছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উদাহরণে পরিণত করেছেন। “উন্নয়ন-গণতন্ত্র-দায়িত্বশীলতা”—এই তিন স্তম্ভে দাঁড় করিয়েছিলেন একটি সফল রাষ্ট্রব্যবস্থা, যেখানে প্রত্যেক নাগরিক ছিল সম্মানিত, সংবিধান ছিল রক্ষিত, আর রাষ্ট্র ছিল নেতৃত্বের কাঠামোয় ঐক্যবদ্ধ।

বিএনপি সেই কাঠামো ভেঙে জাতিকে ফের অস্থিরতা, বৈরিতা ও সহিংসতার পথে নিয়ে যেতে চায়। তারা “জাতীয় ঐক্য”-র নামে আবার সেই যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরি জামাত, আগুন সন্ত্রাসের উদ্যোক্তা শিবির, বিদেশি প্রভুদের দালালদের নিয়ে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছে। আর এই খেলায় সহযাত্রী আজকের অন্তর্বর্তী সরকার, যারা নিজেরাই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বিএনপিকে জায়গা করে দিতে মরিয়া।

আমরা বলছি—যে দলের ইতিহাস জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি আর স্বৈরাচারের প্রশ্রয়ে ভরা, তারা জাতীয় ঐক্য বলতে পারে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে এবং থাকবে। এই ভূয়া ঐক্যের গল্প মানুষ আর বিশ্বাস করবে না। যারা ইতিহাসে রক্তাক্ত অধ্যায় লিখেছে, তারা ঐক্যের নাম নিলেই ইতিহাস লজ্জিত হয়।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *