‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে অচলাবস্থা — জামায়াত-শিবির ও বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র?
আজ রোববার, ৭ জুলাই, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন”-এর ব্যানারে দেশজুড়ে পালিত হয় ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ বড় শহরগুলোতে শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ব্যাপক সড়ক অবরোধ দেখা যায়, যার ফলে দেশজুড়ে ভয়াবহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
তবে আন্দোলনের পেছনের বাস্তবতা খতিয়ে দেখলে দেখা যায়—এটি আর শুধুমাত্র ছাত্রদের দাবি নয়, বরং একটি সংগঠিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্র এবং মাঠ পর্যায়ের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে—এই আন্দোলনের আড়ালে সক্রিয় রয়েছে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা।
তাদের উদ্দেশ্য হলো:
-
দেশে একটি অচলাবস্থার সৃষ্টি করা,
-
জনজীবনে ক্ষোভ বাড়ানো,
-
মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা বিনষ্ট করা,
-
এবং আন্তর্জাতিক মহলে “অস্থিতিশীল বাংলাদেশ” উপস্থাপন করে সরকারকে চাপে ফেলা।
বিএনপি ও জামায়াত জানে তারা নির্বাচন বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠন করতে পারবে না—তাই তারা চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর মিছিলে দেখা গেছে, জামায়াত-শিবিরের পরিচিত মুখ ও ছায়া নেতারা ছাত্রদের সঙ্গে মিশে গেছেন।
তারা পরিকল্পিতভাবে স্লোগান, পোস্টার ও কর্মসূচিতে উসকানিমূলক বক্তব্য ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের স্লোগান শুধু জাতিকে বিভক্ত করে না, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলেই বিবেচিত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন:
“কোনো শিক্ষার্থী যেন কোনো রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ব্যবহৃত না হয়। যারা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সরকার ইতোমধ্যে ৭ জুলাই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে এবং বিষয়টি এখন বিচারাধীন।
সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী।
এই আন্দোলনের চালকের আসনে এখন ছাত্র নয়, বরং জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কুশীলবেরা।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে—তাই তাদের গা জ্বলছে।
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে—এটাই তাদের সহ্য হচ্ছে না।
এখন সময়—ছাত্রদের এই ষড়যন্ত্র থেকে সরে এসে আলোচনার পথে ফেরার।
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে রাজাকারের উত্তরসূরিদের হাত থেকে রক্ষা করার।