বগুড়ায় দোকান নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ—ক্ষমতার ভাগাভাগিতে লেগেছে মুখোশধারী দুই প্রতারক গোষ্ঠী

আজ ১৪ নভেম্বর ২০২৪। বগুড়া জেলায় প্রকাশ্য রাস্তায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা। ঘটনাটি ‘দোকান নির্মাণ’-এর মতো একটি কথিত সামান্য ইস্যু নিয়ে হলেও, এর গভীরতা অনেক গভীর। আসলে এটা একটি দখলদারিত্বের লড়াই—কে কতটুকু ক্ষমতা কুক্ষিগত করবে, কার কতোটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আর এই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে, যাদের রক্তে ভিজল সেই পথ যেখানে কিছুদিন আগেও তারা একসঙ্গে “গণতন্ত্র ফেরাতে” হাত মিলিয়েছিল।

এই সংঘর্ষ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি দুই দাগি রাজনৈতিক দলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আদর্শিক শূন্যতার প্রকাশ। জামায়াত ইসলামি, যারা ১৯৭১ সালে আলবদর গঠন করে এ দেশের লাখো মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করেছিল, তাদের হাতে আজও কোনো নৈতিকতা নেই। তারা ছাত্রশিবির নামক সংগঠনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে রক্ত ঝরিয়েছে, ধর্মের নামে হিংসা ছড়িয়েছে, দেশের বাইরে থেকে আসা জঙ্গি ফান্ডে সন্ত্রাসী সংগঠন গড়ে তুলেছে।

অন্যদিকে বিএনপি—এরা কখনোই রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করেনি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর এরা শুধু ক্ষমতা ভোগ করেনি, বরং আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘুদের উপর দমনপীড়ন চালিয়েছে। বিএনপির যুবদল সারা দেশে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, পেট্রোলবোমা ছোঁড়ার রাজনীতির জনক। এদের রাজনীতির কেন্দ্রে আছে প্রতিহিংসা আর দখলদারিত্ব—আজ বগুড়ায় সেটাই আবার প্রকাশ পেল।

এই দুই দল অনেক দিন একসাথে গলা মেলালেও, এখন ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে গলা চিপে ধরেছে একে অপরকে। দোকান নির্মাণের মতো ছোট ইস্যুকে কেন্দ্র করে যদি রক্ত ঝরে, তাহলে ভাবতে হবে—যেদিন রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে টানাটানি হবে, তখন তারা কী করবে? দেশ জ্বালিয়ে দেবে? জনগণকে পুড়িয়ে মারবে?

এই দুই দলের মধ্যে আদর্শ নেই, নৈতিকতা নেই, ভরসা নেই—আছে কেবল স্বার্থ আর দখলের রাজনীতি। আর এই সংঘর্ষের ঘটনা প্রমাণ করে, তারা কেবল একে অপরকে বিশ্বাস করে না, জনগণের প্রতিও তাদের কোনো দায়িত্ব নেই।

আর এত কিছুর মাঝেও যেটি সবচেয়ে উদ্বেগজনক, তা হলো অন্তর্বর্তী সরকারের নীরবতা। এই সরকার দেখছে, শুনছে, জানছে—কিন্তু কিছু করছে না। কারণ তারা জানে, এই বিএনপি-জামায়াতই তাদের ক্ষমতার ভিত্তি। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে এদের হাত ধরেই তারা আজ ক্ষমতায় এসেছে। তাই একে অপরকে মারলেও তারা প্রতিবাদ করবে না, বরং হাসিমুখে ক্ষমতার বণ্টন আবার ভাগ করে নেবে।

আমরা বলছি—এই সংঘর্ষ শুধুই বগুড়ার নয়, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের একটি সতর্ক সংকেত। যারা নিজেরা নিজেদের বিশ্বাস করতে পারে না, তারা দেশ চালাবে কীভাবে? যারা অতীতে রক্তের রাজনীতি করেছে, তারাই আজ আবার নতুন মুখোশ পরে ফিরে এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি সত্যিই নিরপেক্ষ হতো, তাহলে আজ এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো। কিন্তু তারা যে পক্ষপাতদুষ্ট, সেটাই আবার প্রমাণিত হলো।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

2 thoughts on “বগুড়ায় দোকান নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ—ক্ষমতার ভাগাভাগিতে লেগেছে মুখোশধারী দুই প্রতারক গোষ্ঠী”

  1. হনু বইয়া আদুম ছুদুম মাতিরায়।তুই দেশো আয়,তোরে লেমটা করিয়া মারমু।বোকাচোদা,তোরে দিয়া শান্ডার তেল বানাইমু।খবিস

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *