নীরবতার অবসান, রাজপথে ফিরছে আওয়ামী লীগ—এবার প্রতিশোধ নয়, ইতিহাস রক্ষার লড়াই

আজ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে অবশেষে আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছে—তারা রাজপথে ফিরছে। সেই রাজপথ, যেখান থেকে একদিন পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে জয়গান উঠেছিল। সেই রাজপথ, যেখানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ঘোষণা দিয়েছিলেন “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” সেই রাজপথ, যেখানে শেখ হাসিনা দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “জনগণের ভোটে গঠিত সরকারই গণতান্ত্রিক সরকার।” আজ সেই আওয়ামী লীগ ফের রাজপথে, মাথা উঁচু করে, ইতিহাস রক্ষার দৃপ্ত শপথ নিয়ে।

বিগত কয়েক মাস ধরে আওয়ামী লীগ ছিল নীরব। এই নীরবতা ছিল আত্মসংযম, ছিল রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ, ছিল রক্তপাত এড়ানোর মানবিক সিদ্ধান্ত। কারণ এই দল জানে—এই দেশ তাদের রক্তে কেনা, এই রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে তাদেরই হাত ধরে। শেখ হাসিনা যদি চান, তাহলে একদিনেই ঢাকাসহ সারাদেশে জাগরণ সৃষ্টি করা সম্ভব। কিন্তু তিনি মানবতা, শান্তি এবং সংঘাত পরিহারের জন্যই নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন।

কিন্তু আজ, যখন রাষ্ট্র পরিচালনা করছে এক অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকার, যখন হাজারো নেতাকর্মী গুম, গ্রেপ্তার ও হামলার শিকার হচ্ছে, যখন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে—তখন কি আওয়ামী লীগ বসে থাকবে?

এই প্রতিবাদ কর্মসূচি কোনো প্রতিশোধ নয়—এটি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ইতিহাস রক্ষার লড়াই। আওয়ামী লীগের রাজপথে ফেরার ঘোষণায় আজ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেইসব অপশক্তির মধ্যে—যারা ভেবেছিল আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলবে, রাজনীতি থেকে মাইনাস করবে।

এই আন্দোলন একটি ন্যায়সঙ্গত দাবি—জনগণের রায় ফিরিয়ে দেওয়ার, নির্বাচনের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার। অন্তর্বর্তী সরকার নামে যে অবৈধ চক্রান্ত চলছে, তার অবসান ঘটিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি বৈধ ও গণভিত্তিক সরকার পুনঃস্থাপনই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।

আমরা বলছি—এই আওয়ামী লীগ কোনো সাময়িক জোট নয়, কোনো বিদেশি তদবিরে ক্ষমতায় আসা দল নয়। এটি সেই দল, যে দল রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, যে দল চরম প্রতিকূলতা পেরিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়েছে, আর যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজও দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের রোল মডেল হতে পেরেছে। রাজপথে এই দলের প্রত্যাবর্তন মানে—জাতি আবারো আশার আলো দেখবে। প্রতিশোধ নয়, এটা ইতিহাসের পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

1 thought on “নীরবতার অবসান, রাজপথে ফিরছে আওয়ামী লীগ—এবার প্রতিশোধ নয়, ইতিহাস রক্ষার লড়াই”

  1. ক্ষমতায় ছিলে লিখার জন্য হাত ছিলো যা মন চাইছে লিখছ। এখন তোমার জাতির মা পালিয়ে গেছে সাথে তুমিও। এতো বড় যদি তোর কলিজা হয় এবার দেশে আয় দেখি লিখার জন্য হাত থাকে কি না😡🪓🗡️

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *