“নির্বাচন বিলম্বিত হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে”—তারেক রহমানের মুখে ষড়যন্ত্রের স্বীকারোক্তি

আজ ২২ নভেম্বর ২০২৪। বিএনপির পলাতক, দণ্ডপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভিডিওবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন—”নির্বাচন বিলম্বিত হলে আরও ষড়যন্ত্রের জন্ম হতে পারে।” এই বক্তব্য আসলে কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নয়, এটি একেবারে সরাসরি হুমকি, সরাসরি স্বীকারোক্তি—যদি বিএনপি নির্বাচনের সুযোগ না পায়, তাহলে দেশজুড়ে আবারও আগুন লাগবে, হত্যা হবে, গুম হবে, রক্ত ঝরবে।

তারেক রহমান এই দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে। যিনি নিজেই আদালতের সামনে হাজিরা দিতে পারেন না, যিনি সশরীরে দেশের রাজনীতিতে ফিরতে সাহস পান না, সেই ব্যক্তি আজ ‘নির্বাচন’ নিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন? কিসের ভিত্তিতে? কার অনুমতিতে? আজ তিনি যে কথা বলছেন, সেটি স্পষ্টতই তার দলের পুরোনো ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি।

২০০৬ থেকে ২০০৭, ২০১৩ থেকে ২০১৫—বাংলাদেশ বারবার দেখেছে, বিএনপি যখনই নির্বাচন নিয়ে নিশ্চিত হতে পারে না, তখনই তারা অগ্নিসংযোগ শুরু করে। তারা মানুষ মারে, বাস পুড়িয়ে ফেলে, ট্রেনে আগুন দেয়, পুলিশ হত্যা করে, নিরীহ জনগণের রক্তে ভাসিয়ে দেয় রাজপথ। আজও তারেক রহমান সেই পুরোনো সুরেই বলছেন—“বিলম্ব হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে।”

আসলে তার বক্তব্যের ভেতরে একটি পরিস্কার চিন্তাধারা কাজ করছে: যত দেরি হবে, তত প্রস্তুতি নেওয়া যাবে জামাতের সহায়তায় মাঠ দখলের। আওয়ামী লীগ নেই, শেখ হাসিনা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে—এখন মাঠ ফাঁকা। এখন নির্বাচন চাই এই কারণে, যাতে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া যায়। এবং যদি সেটা না হয়, তাহলে “ষড়যন্ত্র হবে”—অর্থাৎ আবার আগুন জ্বলবে, আবার মানুষ পুড়বে, আবার গণতন্ত্রের নামে রক্তের খেলা চলবে।

আর এই খেলার অন্যতম পরিচালক হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারেক রহমান এমন বক্তব্য দিচ্ছেন অথচ এই সরকার নীরব। কোনো প্রতিবাদ নেই, কোনো সংবিধান রক্ষার চেষ্টা নেই। কারণ, এই সরকারই তো বিএনপি-জামাতের ছক বাস্তবায়নের হাতিয়ার। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়ার পর আজ তারেক রহমান সাহস করে বলছে “আমরাই ঠিক করব কখন নির্বাচন হবে”।

আমরা বলছি—নির্বাচন হলে অবশ্যই হবে, কিন্তু তা হবে জনগণের শর্তে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে। কোনো পলাতক আসামির হুমকি বা জামাত-ঘেঁষা ষড়যন্ত্রের নির্দেশে না। এই দেশকে বারবার রক্তে ভিজিয়ে যারা “রাজত্ব” করতে চায়, তারা জানুক—বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন, প্রস্তুত। ষড়যন্ত্রের দিন শেষ, নেতৃত্বে ফিরবে বঙ্গবন্ধুর কন্যাই।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

2 thoughts on ““নির্বাচন বিলম্বিত হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে”—তারেক রহমানের মুখে ষড়যন্ত্রের স্বীকারোক্তি”

  1. হনু বইয়া আদুম ছুদুম মাতিরায়।তুই দেশো আয়,তোরে লেমটা করিয়া মারমু।বোকাচোদা,তোরে দিয়া শান্ডার তেল বানাইমু।নাপাক

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *