নারী অধিকার নিয়ে বক্তব্য, শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে সবই ভণ্ডামি
আজ ১০ ডিসেম্বর ২০২৪। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নারী অধিকার ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের কার্যকর ভূমিকা চায়। মুখে বলা হয়েছে “নারীর ক্ষমতায়ন”, “নারীর নিরাপত্তা”, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—এই আলোচনা যদি শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে হয়, তাহলে সেটা আসলে নারী অধিকারের নামে এক শ্রুতিমধুর ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই নয়।
বাংলাদেশে নারীর অধিকার নিয়ে যদি কেউ সবচেয়ে বেশি কাজ করে থাকেন, সেটা একমাত্র শেখ হাসিনা। নারীকে জাতীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন—প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে সচিব, কূটনীতিক, পুলিশ কর্মকর্তা, বিচারপতি, সেনা কর্মকর্তা পর্যন্ত। সরকারি চাকরিতে নারী কোটা চালু, উপজেলা পর্যায়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যান বাধ্যতামূলক, সংসদে সংরক্ষিত আসন, ব্যাংকিং ও শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে নারীর অংশগ্রহণ—এসবই শেখ হাসিনা সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য ক্ষুদ্রঋণ, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উদ্যোক্তা উন্নয়ন স্কিম, কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার—এত কিছু আজ বাস্তব হয়েছে শুধু তার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনা ছিলেন সেই প্রধানমন্ত্রী, যিনি নারীকে শুধু ‘সন্তানধারিণী’ বা ‘পরিবারের ভরসা’ হিসেবে দেখেননি, বরং তাকে রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আজ যখন সেই নেতৃত্বকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করে দেওয়া হয়েছে, যখন শেখ হাসিনার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে, তখন একই সঙ্গে নারীর অগ্রগতিও থমকে যাচ্ছে। এখন নারী অধিকারের নামে যারা কথা বলছেন, তারা কীভাবে ভুলে যান—এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে হাইকোর্টে নারী বিচারপতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনে নারী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি আটকে আছে, মাঠপর্যায়ে নারীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছে?
এই সরকার আসলে নারী অধিকার নয়—নারীকে “প্রজেক্ট” বানিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে পয়েন্ট তুলতে চায়। জামাত-বিএনপির ছায়ায় পরিচালিত এই সরকার কখনোই নারী স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না, বরং তাদের রাজনীতি বরাবরই ছিল নারীবিরোধী, ধর্মের নামে হিজাব-কাঠামো চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী। এখন তারা শেখ হাসিনার অর্জনকে নিজেদের নামে চালিয়ে দিতে চায়—যা একটিই প্রমাণ করে, তারা জানে নিজেরা কিছু করে দেখাতে পারবে না।
আমরা বলছি—নারীর অধিকার শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হয়েছে। তাকে বাদ দিয়ে যে আলোচনা হয়, তা শুধু মুখের বুলি, কাজে অপচেষ্টা। আজকে যদি নারীর সত্যিকারের ক্ষমতায়ন চাই, যদি নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান চাই—তাহলে সেই নেতৃত্বকেই ফিরিয়ে আনতে হবে, যিনি কথায় নয়, বাস্তবে নারীর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
তোরা নারীদের পক্ষে লেখা লেখি করে সমাজে নারীদের উস্কে দিচ্ছিলে,টেলে দিচ্ছিলে নারী সমাজ কে পশ্চিমা দেশের সস্কৃতির সাথে।
আমরা ৯৫ শতাংশ মুসলিম দেশের নারী কেন অবাদে চলাফেরা মেলামেশা করবে,
ইসলাম তা কোনদিন সমর্থন করে না।
তোদের মতো নারীকে জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে মারা উচিত🗡️🗡️🪓🪓
Tor lekha lekhi barkormu desh o ay kali sedaia tukra tukra kormu😡😡😡