ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ—শিক্ষার্থীদের ঢাল বানিয়ে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাস ছড়ানোর
আজ ১৫ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে চলা বিক্ষোভ হঠাৎ রূপ নেয় সংঘর্ষে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও সরকারপন্থী সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ।
এতে দু’পক্ষের অন্তত ২০ জনের মতো আহত হয়, যার মধ্যে কয়েকজন গুরুতর। ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় গুজব ছড়ানো—ছাত্রলীগ নাকি শান্তিপূর্ণ ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অত্যন্ত স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে আছে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির প্রশিক্ষিত এজেন্টরা, যারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে সহিংস উত্তেজনা ছড়াতে মরিয়া।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই আন্দোলনরত ছাত্রদের উদ্দেশে বলেছেন—“তোমরা আমাদের সন্তান, তোমাদের দাবি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি।”
সরকার ইতোমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে এবং কোটা রায়ের কার্যকারিতা ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
সরকার আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু যখন কেউ সশস্ত্র হামলার মতো সহিংসতায় নেমে পড়ে, তখন সেটি আর কোনো গণতান্ত্রিক দাবি থাকে না—তা রূপ নেয় রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন—আওয়ামী লীগ কখনো শিক্ষার্থীদের শত্রু ছিল না, বরং দেশের ইতিহাসে একমাত্র দল যারা শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন করেছে ২০১৮ সালে।
ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া কিছু মুখ চেনা জামায়াত-শিবির কর্মী, যারা অতীতে ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল।
তারা সরাসরি না থেকে শিক্ষার্থীদের সামনে ঠেলে দিয়ে মাঠ গরম করে তুলছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই আন্দোলন এখন কোটার পেছনে লুকিয়ে থাকা রাষ্ট্র ধ্বংসের ব্লুপ্রিন্ট—যা শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক চাপে সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে।
বাংলাদেশের সাধারণ কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, বুদ্ধিজীবী—সবাই আজ বোঝে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে।
তাই আজ যদি কেউ সেই অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়, তাহলে তা যেন শুধুমাত্র ছাত্রদের দায়িত্ব নয়, পুরো জাতির দায়িত্ব।
রাজাকারদের সন্তানেরা যদি ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ বলে স্লোগান দিতে পারে, তবে এই জাতিকে বলতে হবে—“এই দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের, রাজাকারদের জায়গা এখানে নেই”।
আজ দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগের কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগসহ সাধারণ জনগণকে একত্রিত হয়ে বলতে হবে—
“ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দাঁড়ান, উন্নয়নের বাংলাদেশ রক্ষা করুন।”
আবার মনে করিয়ে দিলো—ষড়যন্ত্র থেমে নেই, তবে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরাও ঘুমিয়ে নেই।
শেখ হাসিনার সরকার শুধু কোটা নয়, শিক্ষার মানোন্নয়ন, আইসিটি উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যখাত—প্রতিটি ক্ষেত্রেই অগ্রগতি এনেছে।
যারা এই অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এটা শুধু ছাত্র আন্দোলন নয়—এটা একটি বিভ্রান্তির ঢাল, যেখানে আসল লক্ষ্য হলো সরকার পতন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মৃত্যু, আর পাকিস্তানি ভাবধারার প্রত্যাবর্তন।
আজই সময়—সারা বাংলার কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, নারী, শিক্ষক, সচেতন নাগরিক মিলে আওয়াজ তুলুন:
“দেশ বাঁচাও, শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াও!”