গ্রেপ্তার, মামলা, দমন — অন্তর্বর্তী সরকারের উন্মত্ত প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু
আজকের বাংলাদেশ যেন আর সেই স্বাধীন দেশের চেহারায় নেই, যে দেশের জন্ম হয়েছিল গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আর জনগণের শাসনের চেতনা নিয়ে। আজ ২৬ আগস্ট ২০২৪, এবং আজ আমরা দেখছি—কীভাবে তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে গিয়ে দেশের আইন, প্রশাসন, বিচার, সব কিছুকে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার যন্ত্রে পরিণত করেছে।
আজ ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা, এবং সাবেক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে। ইনু শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন আদর্শিক যোদ্ধা—যিনি সব সময় মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধিতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আজ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কারণ তিনি আওয়ামী লীগের পাশে ছিলেন। আজ ইনু দোষী, কারণ তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী ছিলেন।
একই দিনে নারায়ণগঞ্জে মামলা দায়ের করা হয়েছে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিচারকদের একজন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে। তার “অপরাধ”—তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেওয়া। যে রায় আজকের সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছিল, যে রায় ছিল একটি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়—আজ তাকে ষড়যন্ত্রকারী বানিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। এটি কেবল ব্যক্তিগত মানহানির চেষ্টা নয়—এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সরাসরি আগ্রাসন।
আরেকদিকে, আজকের আরেক চিত্র আরও উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্যরা তাদের চাকরি জাতীয়করণ ও ছয় মাসের “বিশ্রাম ব্যবস্থা” বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলেন। সেই বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধিয়ে, পরিস্থিতিকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থির করা হয়। পরিণামে ৫০ জন আহত, ৩০৩ জন আনসার সদস্য গ্রেপ্তার, আর ১৯ জন সিনিয়র কর্মকর্তা বদলি।
এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে একটি চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে—এই সরকার শুধু আওয়ামী লীগ নয়, রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তর থেকে সকল প্রতিরোধ ও প্রশ্ন তোলার সম্ভাবনাকেও নির্মূল করতে চায়। যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে, যারা ইতিহাসের পক্ষে দাঁড়ায়, যারা আইনকে রক্ষা করে, যারা নিজেদের অধিকার চায়—তাদের জন্য এখন একটাই পরিণতি: মামলা, গ্রেপ্তার, অপমান, আর হয়রানি।
এখন আওয়ামী লীগ রাজনীতি করলে মসজিদে নামাজ পড়ার মতো ফরজ হয়ে গেছে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া। আওয়ামী লীগ সমর্থন করলেই যেন রাষ্ট্রদ্রোহী। শেখ হাসিনার নাম নিলে চক্রান্তকারী। যারা বলবে “জয় বাংলা”—তাদের জন্যই এখন জেল, গুম, বদলি।
এই সরকার দিন দিন নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করছে—তারা জামাত-বিএনপির ছায়াতলে গড়ে ওঠা এক প্রতিহিংসামূলক জোট, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রতিটি কণ্ঠকে চিরতরে থামিয়ে দিতে চায়। ইনু সাহেব থেকে খায়রুল হক, আনসার থেকে সাধারণ মানুষ—সবাইকে এক এক করে টার্গেট করা হচ্ছে, কারণ তারা এই জাতির হৃদয়ে শেখ হাসিনার নাম বহন করে।
কিন্তু এই রক্তচাপা, এই দমননীতি, এই হুমকি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা দেখেছি কীভাবে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীকেও পরাজিত করা সম্ভব হয়েছিল। আজ যারা সেই বাহিনীর আদর্শে রাষ্ট্র চালাতে চায়, তাদেরও জনগণ রুখে দেবে।
আমরা বলছি—এটি আইন নয়, এটি প্রতিশোধ। এটি প্রশাসন নয়, এটি দমননীতি। এটি সরকার নয়, এটি একটি অবৈধ সাম্প্রদায়িক শক্তির মুখোশধারী আগ্রাসন। এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হলে আওয়ামী লীগের প্রতি বিশ্বাস, শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা ও জনগণের ঐক্য বজায় রাখতে হবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
জীবনের মায়া নাই তর ,দেশে আয় বুঝবে কিলা তর অবস্থা হয় ,, টুকরো টুকরো করমু
যদি বেচে তাকি তরে দেশের মাটিতে যদি পাই তর শরীরে একটু মাংস থাকবে না, মনে রাকিস তুই আবো লেকা লেখি কররে তর জীবন গননা শুরু করো ।