গণমাধ্যমের লাইসেন্স তদন্ত—মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কণ্ঠরোধে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন অস্ত্র

আজ ২৯ আগস্ট ২০২৪। আজকের ঘোষণার মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বাকশত্রুতা ও মতপ্রকাশ দমনের পথে। অন্তর্বর্তী সরকারের তথাকথিত তথ্য উপদেষ্টা আজ ঘোষণা করেছেন—আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে সকল গণমাধ্যমকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত করা হবে। শুনতে একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ মনে হলেও, বাস্তবে এটি যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ, তা আজ দেশের সবাই বুঝে গেছে।

এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা খুব স্পষ্ট: যারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অর্জন ও সত্য তুলে ধরেছে, যারা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, স্যাটেলাইট বা দারিদ্র্য হ্রাসের তথ্য নিরপেক্ষভাবে প্রকাশ করেছে—তাদের বিরুদ্ধে এখন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কারণ, এই সরকার জানে, সত্য যতদিন প্রচার হবে, ততদিন মিথ্যার ইমারত টিকবে না।

এখন যে “তদন্ত” শুরু হচ্ছে, তার মূল উদ্দেশ্য হলো—আওয়ামী লীগপন্থী বা প্রগতিশীল মিডিয়াগুলোকে চাপে রাখা, তাদের সম্পাদকদের বিরুদ্ধে মামলা, টিভি ও পত্রিকাগুলোর লাইসেন্স বাতিলের হুমকি, আর একে একে সকল প্ল্যাটফর্মকে জামাত-বিএনপির হাতের বাইরে না গেলেও অন্তত নীরব করে ফেলা।

এটা শুধুই তথাকথিত উপদেষ্টার ঘোষণা নয়—এই পরিকল্পনা এসেছে সেই সব গোষ্ঠীর চাপে, যারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি। জামাত ও বিএনপি আজ অন্তর্বর্তী সরকারের ছায়ায় নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ২০০১ সালে যেমন সাংবাদিকদের তালিকা করে নিপীড়ন চালানো হয়েছিল, আজ আবার সেই পুরনো কৌশলই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে নতুন নামধারী “সংস্কারের” আড়ালে।

আজ বাংলাদেশে সংবাদপত্র বা টেলিভিশন চ্যানেল যদি সরকার সমালোচনার পাশাপাশি শেখ হাসিনার সাফল্যের কথাও বলে—তবে সেটিই হয়ে যায় “একপেশে”, “উন্নয়নের মোড়কে তোষণ”, “লাইসেন্স তদন্তযোগ্য।” আর যে চ্যানেলগুলো এখনকার সহিংসতা, গ্রেপ্তার, সংখ্যালঘু নিপীড়ন বা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে কিছু বলে না, বরং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচারণায় মেতে আছে—তারা “নিরপেক্ষ”!

এই হলো আজকের বাংলাদেশ। মানুষের বাক-স্বাধীনতা শুধু বইয়ের পাতায় আছে, বাস্তবে তা একপ্রকার বিলুপ্ত। সাংবাদিকদের কলম এখন রাষ্ট্রপক্ষে গেলে জেল, আর রাষ্ট্রবিরোধী হলে “পুরস্কার”। এই যদি হয় মিডিয়ার ভবিষ্যৎ, তাহলে এই মিডিয়া আর কখনো জনগণের মুখপাত্র হতে পারবে না।

এই পরিস্থিতি কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে না, এটি গোটা জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। কারণ, একটি জাতি তখনই আত্মনির্ভর হয়, যখন তার সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন তুলতে পারে, গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারে, আর সবচেয়ে বড় কথা—সত্য তুলে ধরতে পারে। সেই সত্যকে আজ কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।

আমরা বলতে চাই—গণমাধ্যমের লাইসেন্স তদন্ত নয়, সত্যের উপর আস্থা ফিরিয়ে আনুন। ভিন্নমত নয়, মিথ্যাচার বন্ধ করুন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দমনে যারা মাঠে নেমেছে, তারা ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়কেই আবার ফিরিয়ে আনছে।

এই সরকার জনগণের ভোটে আসেনি, তাই তারা জানে না বাক-স্বাধীনতা কীভাবে জাতির ভরসা হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনার সরকার যখন দেশ পরিচালনা করেছে, তখনই সংবাদমাধ্যম সবচেয়ে বেশি বিকশিত হয়েছে—চ্যানেলের সংখ্যা বেড়েছে, অনলাইন গণমাধ্যম বিস্তার পেয়েছে, সম্পাদকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছেন। আজ সে অর্জন ধ্বংসের মুখে।

এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে। সাংবাদিকদের, পাঠকদের, দর্শকদের এবং সর্বোপরি দেশের প্রতিটি সজাগ নাগরিকের কর্তব্য—সত্যের পক্ষে থাকুন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের পক্ষে থাকুন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

2 thoughts on “গণমাধ্যমের লাইসেন্স তদন্ত—মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কণ্ঠরোধে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন অস্ত্র”

  1. তর মতন মাদারচুদ রে আগুন দি লেমটা করে পুরাইয়া মারবো ,দেশে আয় শুধু একবার।

  2. তরে পাবলিক প্লেইসে লেংটা করে আগুন দি জ্বালাইয়া মারবো মন রাকিস তুই দেশে আয় একবার ।শুধু দেশের মাটিত একবার পা দে পাটা কাটবো।

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *