(180315) -- DHAKA, Bangladeshi national flag is seen flown at half-mast outside the High Court building in Dhaka on March 15, 2018. With all the national flags at government offices and foreign missions down at half-mast, Bangladesh is mourning on Thursday the victims of the US-Bangla Airlines plane that crashed in Nepal. (Xinhua/Salim reza) (swt)

কোটা পুনর্বহালের রায়ে স্থগিতাদেশ — সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

আজ ১০ জুলাই ২০২৪, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া কোটা পুনর্বহালের রায়ের উপর চার সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে চলমান ছাত্র আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

৫ জুন ২০২৪ হাইকোর্ট একটি রায়ে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং কোটা পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে এবং আজ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম চার সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।

এর মানে হচ্ছে—বর্তমানে কোটা পুনর্বহাল হচ্ছে না এবং ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপনই আপাতত বহাল থাকছে।

আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকেই বলেছে—ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করা হবে না, তবে তা আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায়ই সমাধান হবে।
সরকার কখনো আদালতের সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করেনি এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন:

“আমরা চাই, সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষিত থাকুক। মেধা, যোগ্যতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে।”

আজকের স্থগিতাদেশ প্রমাণ করে—সরকার ছাত্রদের কথা শুনছে এবং সাংবিধানিক পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।

এই রায় প্রমাণ করলো—বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান, এবং সুপ্রিম কোর্ট এই ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
এখন আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা, রাস্তা অবরোধ কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার আর কোনো যুক্তি নেই।

এছাড়া, যে চক্র আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে চেয়েছিল—তাদের ষড়যন্ত্র আজও ব্যর্থ হয়েছে।

এই রায় একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়—গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইনই সর্বোচ্চ পথ
সরকার জনগণের এবং শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে—কিন্তু তা করতে হবে সংবিধানের রূপরেখায় থেকে।

এখন সময়—শান্তির পথে ফিরে আসার, আলোচনা ও সমাধানের মাধ্যমে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার।
এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, ষড়যন্ত্রকারীদের নয়।

আপনি চাইলে এই রায়ের সারসংক্ষেপ বা ইনফোগ্রাফিক আকারে একটি সচেতনতামূলক ভিজ্যুয়াল তৈরি করে দিতে পারি। জানাবেন?

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *