আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ও গ্রেপ্তার—অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশোধপরায়ণতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ
বাংলাদেশে এখন যা চলছে, তা আর কোনো আইনি শৃঙ্খলা, বিচারনীতি বা সাংবিধানিক মূল্যবোধের আওতায় পড়ে না। আজকের বাংলাদেশে যারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করেছেন, যারা জাতির অগ্রগতির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, তাদের জন্য এখন কেবল একটাই পরিণতি—মামলা, গ্রেপ্তার, অপমান। ৬ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিকসহ ১৩২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ—তারা নাকি ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আর ৯ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনকে, নরসিংদীতে ছাত্রদের ওপর হামলা ও হত্যার অভিযোগে।
এই দুইটি ঘটনা যেমন স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তেমনি এতে স্পষ্ট প্রতিফলিত হচ্ছে—অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা, শেখ হাসিনার সহযোদ্ধাদের একে একে শিকল পরানো, আর তাদের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা। কোনো তদন্ত শেষ হয়নি, কোনো আদালতের রায় হয়নি, কোনো নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন এখনো কাজ শুরু করেনি—তার আগেই মামলা, গ্রেপ্তার, রায় সবকিছু যেন প্রস্তুত।
শিবলী সাদিক একজন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি দিনাজপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সড়ক, স্বাস্থ্যসেবা ও কৃষি উন্নয়নে নিরলস কাজ করেছেন। অথচ আজ তাকে ছাত্রদের বিরুদ্ধে “হত্যা” মামলায় জড়ানো হয়েছে! কী প্রমাণ আছে? কোথায় ভিডিও ফুটেজ? কোথায় সাক্ষী-প্রমাণ? নাকি আজ “ছাত্রদের পক্ষ” হলেই সব মাফ, আর আওয়ামী লীগের নাম থাকলেই সব অপরাধ?
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, একজন সাবেক মন্ত্রী, একুশে পদকপ্রাপ্ত একজন নেতা—যিনি শিল্পোন্নয়নে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন—তাকে সরাসরি গ্রেপ্তার করা হয়েছে কোনো রুল, ওয়ারেন্ট, অথবা স্পষ্ট অপরাধমূলক তথ্য ছাড়াই। কোথায় আইনের শাসন? কোথায় বিচার প্রক্রিয়া?
এই দুটি ঘটনা প্রমাণ করে দেয়, বর্তমান সরকার প্রতিশোধ নিচ্ছে, বিচার করছে না। ছাত্রদের কাঁধে বন্দুক রেখে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করা হচ্ছে। একদিকে জামাত-বিএনপির নেতাদের মামলা উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
এই অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশের রাজনীতি আর গণতন্ত্রের জন্য এটি চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে। যারা উন্নয়নের নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা এই দেশকে শূন্য থেকে ঘুরিয়ে এনেছে—তাদের যদি একে একে জেলে পুরে দেওয়া হয়, তাহলে এ দেশ কারা চালাবে? রাজাকারের উত্তরসূরি? মৌলবাদী ছাত্রনেতা? না কি গোপন বিদেশি এজেন্ডার প্রতিনিধি?
এই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। যারা সত্যিকারের অপরাধী, যারা অগ্নিসংযোগ, ধ্বংস, লুটপাটে জড়িত—তাদের বিচার হোক, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার নামে আইনকে অস্ত্র বানানো যাবে না।
আমরা আবারও বলছি—শেখ হাসিনা ও তার সহযোদ্ধারা এই দেশের ইতিহাস, তাদের ওপর হামলা মানে দেশের ওপর হামলা। মামলা দিয়ে, গ্রেপ্তার দিয়ে ইতিহাসকে থামানো যায় না। এই প্রতিশোধমূলক মামলাগুলো বাতিল করতে হবে, নইলে জনগণ একদিন এই সরকারকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
মানুষ মরে লোভে ঠিক তুই মরছত লোভে । ক্ষমতা পাইয়া তুই যা অত্যাচার করছিলে আজকে তুই কোথায় গেলে । সোনার বাংলায় তর মতন কুলাঙ্গার কোনো জায়গায় নাই ।তরে সোনার বাংলা ডুকতে দিমু না ।